তিন বছর ধরে বন্ধ উৎসাহ ভাতা, বকেয়ার পরিমাণ ছাড়িয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা!

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবাস প্রকল্পে তদারকি করার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে আবাস বন্ধু (Awas Bandhu) নিযুক্ত করেছিল বিভিন্ন পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত দফতরের (Panchayat Department) নির্দেশেই ‘আবাস বন্ধু’দের নিয়োগ করা হয়েছিল। আবাস বন্ধুদের ঘর পিছু ৪০০ টাকা করে মজুরি দেওয়ার কথা। অভিযোগ, প্রায় তিন বছর ধরে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হচ্ছে না তাদের। যার জেরে আবাস প্রকল্পে ‘আবাস বন্ধু’দের তদারকির কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। সমস্যা বাড়ছে উপভোক্তাদেরও।

বন্ধ উৎসাহ ভাতা | Awas Bandhu

‘আবাস বন্ধু’দের অভিযোগ, এই ভাতার বিষয়ে তারা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েছে। এই নিয়ে গত ৮ এপ্রিল সল্টলেকে পঞ্চায়েত দফতরে স্মারকলিপি জমা দেয় আবাস বন্ধু সংগঠনের প্রতিনিধি দল। নিজেদের দাবিতে বিক্ষোভও দেখান তারা। কিন্তু কোনো কিছুতেই সুরাহা হয়নি।

তাদের দাবি, ২০১৯-’২০, ২০-’২১, ২১-’২২ অর্থবর্ষে তারা উৎসাহ ভাতার টাকা পাননি। বর্তমানে এই প্রকল্পে তাদের বকেয়া কয়েক লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে বলে দাবি। এদিকে ভাতার টাকা না মেলায় শুধুই যে ‘আবাস বন্ধু’রা সমস্যায় পড়েছেন তেমন নয়, তদারকির কাজ বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন আবাসের উপভোক্তারাও।

আরও পড়ুন: বোমা-পিস্তল দেখিয়ে সর্বস্ব লুট, ছাগল পর্যন্ত ছাড়েনি! নববর্ষে সর্বহারা বেতবোনা-জাফরাবাদের বাসিন্দারা

আবাসের ঘর তৈরির ক্ষেত্রে উপভোক্তারা টাকা পেয়ে সঠিকভাবে ঘরের কাজ শুরু করছেন কিনা, কিভাবে কাজ চলছে এই সব ক্ষেত্রে তদারকিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি ‘আবাস বন্ধু’ রয়েছেন। কেন বহুদিন থেকে তাদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কবে এই সমস্যার জট খুলবে সেই বিষয়েও কিছু জানা যায়নি। আবাস বন্ধু সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শেখ আবদুল্লা জানান, ‘‘২০১৮ সালে আমাদের দিয়ে আবাসের সমীক্ষা করানো হয়েছিল। বর্তমানে আবাসের কাজ শুরু হলেও আমাদের আর কাজে নেওয়া হচ্ছে না। তিন বছরের বকেয়া রয়েছে। জন প্রতি ৪-৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওনা।’’

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

X