বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হিংসা, অশান্তিতে বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)। গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে অবস্থার অবনতি শুরু হয়। এখনও বহু জায়গায় থমথমে পরিস্থিতি। এই আবহে শনিবার সেখানে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women) প্রতিনিধিরা। এবার তাঁদের সামনেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পদত্যাগের দাবি জানানো হল।
মমতার ইস্তফার দাবি মুর্শিদাবাদের আক্রান্তদের (Murshidabad Violence)!
এদিন মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, বেতবোনা, জাফরাবাদে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে তাঁদের সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্থানীয় মহিলারা। জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের জড়িয়ে ধরেই অঝোরে কাঁদতে থাকেন অনেকে। চিরস্থায়ী সমাধানের আর্জি জানান।
অশান্তির আবহে সর্বস্ব খুইয়েছেন। কারোর ঘরবাড়ি গিয়েছে, কেউ আবার খুইয়েছে টাকা, গয়না বা গৃহপালিত পশু। এই আবহে অধিকাংশের মনেই একটা প্রশ্ন, বিএসএফ চলে গেলে কী হবে? এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) প্রতিনিধিদের সামনে হাত জোর করে স্থানীয়রা বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ চাই…’।
আরও পড়ুনঃ দাঁড়ালই না রাজ্যপালের গাড়ি! পুলিশের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ! ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্থানীয়রা
এদিন পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন ধুলিয়ান, জাফরাবাদ সহ মুর্শিদাবাদের নানান এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর আগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া উচিত ছিল।
হিংসা-অশান্তিতে আক্রান্ত গ্রামবাসীরা জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে, স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প, এনআইএ তদন্তের আবেদন জানান। এদিন মহিলা কমিশনের সদস্যদের গাড়ি আটকে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানান এলাকাবাসী।

তাঁরা অভিযোগ করেন, হামলা দিন প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে ফোন করা হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। সম্পূর্ণ ঘটনায় তাঁদের আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে। এনআইএ তদন্ত এবং সুরক্ষার জন্য বিএসএফ ক্যাম্পের দাবি করেন ধুলিয়ানের বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ-অশান্তি (Murshidabad Violence) নিয়ে বর্তমানে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আজ হিংসা-বিধ্বস্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। একইদিনে জেলা পরিদর্শনে বেরিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কাছেও নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আতঙ্কিত এলাকাবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস।