বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। জীবনের ৬০টি বসন্ত একাকী কাটানোর পর নয়া ইনিংস শুরু করেছেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর সাবেক সাংসদ। বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে (Rinku Majumdar) জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।
বিয়ের পরের দিন কীভাবে সময় কাটালেন দিলীপ-পত্নী (Dilip Ghosh)?
শুক্রবার দিলীপের নিউটাউনের আবাসনে চার হাত এক হয়েছে দিলীপ-রিঙ্কুর। বিয়ের পরদিনই ফের চেনা মেজাজে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাকে। শনিবার সকালে ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য রাজনীতির নানান ইস্যুতে সরব হন। অন্যদিকে শাশুড়ি মায়ের সেবা করে ও আত্মীয়দের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটান নববধূ রিঙ্কু।
একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শাশুড়ি মা তথা দিলীপ-জননী পুষ্পলতার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন পুত্রবধূ রিঙ্কু। শাশুড়ি মায়ের সেবা শুশ্রূষা করছেন। সেই সঙ্গেই বাড়িতে বেশ কয়েকজন আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে গল্পগুজব করেন নববধূ।
আরও পড়ুনঃ ‘জলবিছুটি দিয়ে চাবুক মারতে হবে’! বিজেপি বিধায়কের আবার নিদান, ‘প্রত্যেকে হাতে যন্ত্র রাখুন’
জানা যাচ্ছে, নতুন বৌকে এখনও হেঁশেলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিজেপি নেতার বাড়ির রাঁধুনিই আজ সবার জন্য রান্নাবান্না করেছেন। শাশুড়ির সেবা শুশ্রূষা, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে গল্প গুজব করেই আজকের দিন কাটিয়েছেন রিঙ্কু।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, বিয়ের পরেই ফের ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দিলীপ। আজই খড়্গপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ফিরবেন আগামীকাল রাতে। তবে নববধূ রিঙ্কু স্বামীর সঙ্গে যাচ্ছেন না। তিনি নিউ টাউনের বাড়িতেই থাকবেন।
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে দিলীপকে জিজ্ঞেস করা হয়, গ্রামের বাড়ি কবে যাবেন? জবাবে বিজেপি নেতা জানান, এখনই সেখানে যাবেন না। তবে শীঘ্রই মা ও নববধূকে নিয়ে ঝাড়গ্রামের কুলিয়ানা গ্রামে যাবেন। সেখানেই তাঁর আদি বাড়ি। পদ্ম নেতা আগামী সপ্তাহে সেখানে যেতে পারেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় গুটিকয়েক কাছের মানুষকে সাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন দিলীপ (Dilip Ghosh)-রিঙ্কু। জীবনের এই নতুন অধ্যায় শুরুর পর তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন একাধিক রাজনীতিক। বিজেপি নেতা-নেত্রীদের পাশাপাশি অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব।