বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রক্তে ভেসে যাচ্ছে ভূস্বর্গ! কাশ্মীরের (Kashmir Attack) বুকে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে বেঘোরে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারালেন ২৬ জন। নিহতদের মধ্যে ২ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। আহত অন্তত ২০। সদ্য বিবাহের পর কেউ গিয়েছেন হানিমুনে, কেউ গিয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে। কিন্তু কয়েক মিনিটের এলোপাতাড়ি গুলিতে শ্মশানপুরীতে পরিণত হল স্বপ্নের ন্যায় পহেলগাঁও (Pahalgam)।
ভয়ঙ্কর হামলার নেপথ্যে আসলে কারা? Kashmir Attack
সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের বৈসারন ভ্যালির রিসর্টে অতর্কিত হামলার নেপথ্যে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা TRF (The Resistance Front)। হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে পাক ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সহযোগি সংগঠন TRF। জানা গিয়েছে ‘লস্কর-ই-তইবা’র (Lashkar-e-Taiba) ছত্রছায়ায় থাকা TRF হামলা চালানোর আগে প্রায় সাতদিন ধরে গোটা এলাকা রেইকি করে। তারপরই হয়ে আট্যাক।
বহুদিন ধরে কাশ্মীরে সক্রিয় থাকা এই জঙ্গি সংগঠন সকলকে বিভ্রান্ত করতে হামলার দিন জলপাই রঙের পোশাক পরে পর্যটকদের কাছে আসে। হাতে ছিল রাইফেল। জানা যাচ্ছে ঘোড়ায় চেপে ৬-৭ জন জঙ্গি রিসর্টে প্রবেশ করে। তারপর তারা একাধিক দলে ভাগ হয়ে শতাধিক রাউন্ড গুলি চালায়। অভিযোগ, ধর্ম দেখে ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে চালানো হয় হামলা।
জানা যাচ্ছে এই জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছে সাজিদ জাট, সাজ্জাদ গুল ও সালিম রেহমানি। সামাজিক মাধ্যমে এই সংগঠন নিজেদের প্রচার চালায় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। বহুদিন ধরে তারা টার্গেট করে রেখেছিল পহেলগাঁওকে। এপ্রিলে পর্যটনের ভরা মরসুমে হামলার ছক কষা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেই ‘অ্যাকশনে’ মোদী! বিমানবন্দরেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক! কাশ্মীর-কাণ্ডে কী পদক্ষেপ?
২০১৯ সালে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর, পাকিস্তানের আইএসআই-এর ছত্রছায়ায় TRF গঠিত হয় বলে খবর মিলেছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ পহেলগাঁও হিল স্টেশন থেকে প্রায় ৫ কিমি দূরে বৈসরন উপত্যকায় ঢুকে জঙ্গিরা হামলা চালায়।