বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘ভূস্বর্গে’ ঘুরতে গিয়ে জঙ্গি হানার (Pahalgam Terror Attack) শিকার। মঙ্গলবার পর্যটকে ভরপুর বৈসরণে নৃশংস হত্যালীলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরও তিন জন রয়েছেন। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, জম্মু ও কাশ্মীরে এত বছরে কখনও পর্যটকদের (Tourist) ওপর হাত পড়েনি। তাহলে এবার কেন তাঁদের নিশানা করা হল? সেই কারণ জানিয়েছে জঙ্গিরাই।
পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) পর্যটকদের কেন নিশানা করলেন জঙ্গিরা?
গতকাল বৈসরণে হত্যালীলা চালানোর পরেই এই ঘটনার দায় নিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স। তাদের দাবি, যাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তাঁরা কেউ সাধারণ পর্যটক নন। আক্রান্তদের মধ্যে কেউ নৌসেনা, কেউ আবার গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য। এছাড়া সাধারণ পর্যটকের বেশে ‘আন্ডার কভার এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করা বিদেশি বাহিনীর লোকও ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। দিল্লি তাদের পাঠিয়েছিল বলে দাবি করেছে দ্য কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স।
জঙ্গিদের তরফ থেকে এহেন দাবি করা হলেও গোয়েন্দারা সেকথা মানতে নারাজ। অনুমান করা হচ্ছে, জঙ্গি হামলায় নিহতদের তথ্য সংবাদমাধ্যমের মারফৎ জানার পরেই এই ‘গল্প’ সাজানো হয়েছে। নিরীহ পর্যটকদের ওপর হামলা চালানো হয়নি, এই বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠা করতেই এই যুক্তি সাজানো হচ্ছে বলে অনুমান।
আরও পড়ুনঃ ‘শুধু দুর্ভাগ্যজনক ও ভয়াবহ নয়, বরং এই হামলা…’! পহেলগাঁও-কাণ্ডের পর মুখ খুললেন অভিষেক
গতকাল জঙ্গি হামলার পরেই জানা গিয়েছিল, গুলি করার আগে ধর্মীয় পরিচয়, তথা হিন্দু নাকি মুসলিক একথা জানতে চেয়েছিলেন হামলাকারীরা। এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। অপরাধীদের রেহাই নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
অন্যদিকে গতকালই সংশ্লিষ্ট জঙ্গি সংগঠনের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের পর যে নতুন আবাসিক আইন আনা হয়েছে, এর ফলে কাশ্মীরের (Kashmir) বাইরে বসবাসকারীরা এসে সেখানে জমি কিনতে পারছে ও নিজেদের উপত্যকাবাসী হিসেবে দাবি করছে। এমনকি জম্মু ও কাশ্মীরে মোতায়েন থাকা সেনাবাহিনীকেও ডোমিসাইল স্টেটাস তথা স্থায়ী বাসিন্দার তকমা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও বহিরাগতদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সরকারি চাকরি দেওয়া, স্থানীয়দের চাকরি থেকে বের করে দেওয়া, বহিরাগতদের সরকারি ও প্রাইভেট কন্ট্যাক্ট দেওয়া সহ বেশ কিছু বিষয়ের জবাব স্বরূপ এই জঙ্গিহানা বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট সংগঠন। সেই সঙ্গেই তাদের দাবি, গতকাল যাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল, তাঁরা কেউ সাধারণ পর্যটক ছিলেন না।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) খবর পেতেই বিদেশ সফর কাটছাঁট করে দেশে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন দিল্লি বিমানবন্দরেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি। অপরাধীদের রেহাই নেই, স্পষ্ট জানিয়েছেন পিএম মোদী।