বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানায় (Kashmir Attack) নিহত হয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। বৈশরণ উপত্যকায় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর ই তৈবার ঘনিষ্ঠ সংগঠন রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ। এই ঘটনায এবার বড় বার্তা দিয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম ল বোর্ড।
কাশ্মীরের ঘটনায় (Kashmir Attack) বড় সিদ্ধান্ত অল ইন্ডিয়া মুসলিম ল বোর্ডের
কাশ্মীরের ঘটনা (Kashmir Attack) বড় ধাক্কা দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। ভূস্বর্গে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে ২৬ জন সাধারণ পর্যটকদের। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে উত্তাল হয়েছে প্রতিবাদের ঢেউ। কাশ্মীরে ঘটনার প্রতিবাদে মিছিলে সামিল হতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় কাশ্মীরিদের একাংশকে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে দেশ জুড়ে বেশ কীভাবে মসজিদও। এবার এক ধাপ এগিয়ে ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধী প্রতিবাদী আন্দোলন আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছেন তারা।
কী বলা হল বিবৃতিতে: বোর্ডের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। এই ঘটনাকে নিন্দনীয় বলে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জঙ্গি হামলায় (Kashmir Attack) নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আপাতত ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলন আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : ‘২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে…’, এবার হুমকি টাইগারকে! পুলিশের হাতে আটক পঞ্জাবের ব্যক্তি
দেশের তরফে নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ: বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ৩ দিন আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তিন দিন পর থেকে আবারও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম ল বোর্ড। এই ঘটনায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদের (Kashmir Attack) ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পর্যটকদের উপরে হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড়সড় পাঁচটি পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
আরো পড়ুন : কাশ্মীরের ঘটনায় নীরব, পাক নায়ককে নিয়ে ছবির প্রচার! বয়কটের ডাক বাণী কাপুরকে
মঙ্গলবার দুপুরে সেনা আধিকারিক সেজে পর্যটকদের উপরে জঙ্গিরা হামলা চালায় বলে খবর। সেনা, পুলিশের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগবে, তৎক্ষণাৎ অ্যাকশন করা যাবে না, একথা মাথায় রেখেই ওই স্থানে হামলার প্ল্যান করা হয় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে এখনো পর্যন্ত এই হামলার দায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান।