বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় রীতিমতো শিউরে উঠেছে গোটা ভারত। যেখানে নিরীহ পর্যটকদের পরিচয় এবং ধর্ম জানার পর গুলি করে জঙ্গিরা। ঠিক এই আবহেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল বাংলাদেশ (Bangladesh)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশে স্থিত ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিবাদী সংগীতযাত্রা তথা “সং মার্চ” শুরু করে।
ভারতীয় দূতাবাসের দিকে “সং মার্চ” বাংলাদেশে (Bangladesh):
মূলত, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার (Bangladesh) পল্টনের মুক্তাঙ্গন থেকে বিকেল ৩ টে নাগাদ এই কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যরা ঢাকার মুক্তাঙ্গন থেকে পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করতে থাকেন। আর এইভাবেই শুরু হয় এই সংগীত যাত্রার। এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে যে ভারতব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদকে সামনে রেখেই সং মার্চের মাধ্যমে সদস্যরা ঢাকার বারিধারা এলাকায় ভারতীয় দূতাবাসে প্রতিবাদলিপি জমা দেবেন।
এদিকে, এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি কবি মুহিব খান জানিয়েছেন, “১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই সমগ্র ভারতজুড়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিক স্থানে সেখানে বসবাসকারী মুসলমানদের ওপর হত্যা থেকে শুরু করে গুম, ধর্ষণ, ধ্বংসযজ্ঞ, উচ্ছেদ এবং লাঞ্ছনাসহ নানা নির্যাতন চালানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন: হতে চলেছে বড় ধামাকা? আরব সাগরে INS বিক্রান্ত-কে সক্রিয় করল ভারত
এর পাশাপাশি তিনি, বাবরি মসজিদ ধ্বংস সহ ২০০২ সালে গুজরাটে হত্যার ঘটনার মতো সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার অবতারণা করে বলেন ভারতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্পদ হরণের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যে পার্লামেন্টে গৃহীত ওয়াকফ আইন সংশোধন বিলকে কেন্দ্র করেই মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চলছে।
আরও পড়ুন: বড় পদক্ষেপের পথে ভারত! দখল করা হবে PoK? প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিতের পর রাষ্ট্রপতি ভবনে জরুরি বৈঠক
শুধু তাই নয়, কবি মুহিব খান এহেন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, “আমাদের নিন্দা ও প্রতিবাদের ভাষাকে বাংলাদেশ (Bangladesh) ছাড়াও সমগ্র বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্যই জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আজ আমরা ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদী সংগীতযাত্রা করছি।” কবি মুহিব খান স্পষ্ট জানান, “ভারত ছাড়াও পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তে থাকা নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে আমরা সবসময় আছি। তবে, শুধু মুসলিমরাই নন, নির্যাতন অন্যায় ও অমানবিকতার শিকার প্রতিটি মানুষের পক্ষেই আমাদের অবস্থান রয়েছে।”