বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৈশাখী দহনে পুড়ছে বাংলা (Summer)। সকালের প্রখর রোদে দু’দণ্ড বাইরে বেরনো দায়। ফ্যান ছাড়া এক মুহূর্ত কাটানো কার্যত মুশকিল হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গেই বেড়েছে এসির (AC) ব্যবহার। এবার এর জেরেই হু হু করে বাড়ছে বিদ্যুতের (Electricity) চাহিদা। বৈশাখ মাস শেষ হওয়ার আগেই ১০,০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গিয়েছে ইলেকট্রিসিটির ডিম্যান্ড।
গরম পড়তেই বেড়েছে বিদ্যুতের (Electricity) ব্যবহার!
গরমের জ্বালাপোড়া থেকে রেহাই পেতে অনেকেই দেদার এসি চালাচ্ছেন। এটিকেই কলকাতা সহ সমগ্র রাজ্যজুড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার সময় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা অঞ্চলে বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা পৌঁছেছিল ১০,০৯০ মেগাওয়াটে। অন্যদিকে সিইএসসি (CESC) অঞ্চলের কথা বলা হলে, ওই একইদিনে বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা পৌঁছে গিয়েছিল ২৫০৭ মেগাওয়াটে।
রিপোর্ট বলছে, ২০২৪ সালের ১৬ জুন পশ্চিমবঙ্গে (West bengal) বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা পৌঁছেছিল ১০,৫০৭ মেগাওয়াট অবধি। যা কিনা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রেকর্ড ছিল। তবে এবার এপ্রিল শেষ হওয়ার আগেই বিদ্যুতের চাহিদা ১০,০০০ মেগাওয়াটের গণ্ডি টপকে গিয়েছে। ফলে মে-জুন মাসে গতবারের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুনঃ ‘বিকাশরঞ্জন নিয়েছেন ২৭ লাখ, শামিম ৭ লাখ’! কীসের জন্য? বোমা ফাটালেন কুণাল ঘোষ
বৈশাখ মাসেই রাজ্যের নানান জেলায় দাবদাহের (Heat Wave) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ফ্যান, এসি, কুলারের দেদার ব্যবহার করছে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই কারণে ইলেকট্রিসিটির এই ব্যাপক ডিম্যান্ডকে অস্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রখর গরমের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্নভাবে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, সেটা সুনিশ্চিত করতে সপ্তাহে দু’বার করে বিদ্যুৎ সচিব ও দফতরের অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
তবে গরম বাড়তেই রাজ্যের নানান প্রান্তে কারেন্ট চলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি হাওড়ায় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার একটি সাব স্টেশন বিকল হয়ে পড়ে। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়ে যায়। শহর কলকাতার একাধিক জায়গাতেও গত দু’সপ্তাহে বেশ কয়েকবার কারেন্ট চলে গিয়েছিল বলে খবর। সরকারি আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, লোডশেডিং হয়নি। স্থানীয় স্তরে সমস্যার জেরেই কিছু অঞ্চলে অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বৈশাখ মাসেই রাজ্যের একাধিক জেলার তাপমাত্রা ৪০ ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতে ফ্যান ছাড়া কার্যত থাকা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গেই বেড়েছে এসির ব্যবহার। এর ফলে বিদ্যুতের (Electricity) চাহিদাও ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, সেটা সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী।