পুরীর মন্দিরের প্রথা, আচার যেন বাইরে না যায়! দিঘায় মন্দির উদ্বোধনের আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি কর্তৃপক্ষের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাত পোহালেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন। সৈকত শহরে এখন সাজো সাজো রব। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সহ রাজ্যের একাধিক নেতা, মন্ত্রী। বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও একাধিক ‘ভিভিআইপি’র উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তার আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করল পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ (Puri Jagannath Temple)।

দিঘায় জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) উদ্বোধনের আগেই বড় খবর!

মঙ্গলবার একটি জনপ্রিয় সংবাদসংস্থার মুখোমুখি হয়েছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি মহাসোর। তিনি বলেন, দিঘার বুকে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সিদ্ধান্তকে তারা স্বাগত জানাচ্ছেন। গোটা বিশ্বে একাধিক মন্দির গড়ে উঠতে পারে বলে জানান তিনি। তবে আসল মন্দিরের সংস্কৃতি ও রীতিনীতি সংরক্ষণ করে রাখা উচিত বলে মতপ্রকাশ করেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি।

#WATCH | Puri, Odisha | On the inauguration of the Jagannath Temple in Bengal’s Digha, President of Saur Mahasaur, Padmanava Mahasuar says, “…We welcome the decision of inaugurating Jagannath Temple (in Digha). There can be many (Jagannath) temples in the world, but the culture… pic.twitter.com/oDdAXGYXh1

— ANI (@ANI) April 29, 2025

তাঁর কথায়, ‘আমরা (দিঘায়) জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। গোটা বিশ্বে একাধিক (জগন্নাথ) মন্দির থাকতে পারে। তবে আসল মন্দিরের সংস্কৃতি ও রীতিনীতি সংরক্ষণ করে রাখা উচিত… এখানে যে পদ্ধতি, রীতিনীতি পালিত হয়, সেটা বাইরে যাওয়া উচিত নয়’।

আরও পড়ুনঃ জয়হিন্দ বিমানবন্দর থেকে কিশোর কুমার! পাল্টে যাবে একাধিক মেট্রো স্টেশনের নাম? জমা পড়ল প্রস্তাব

পুরীর মন্দিরের সভাপতি আরও বলেন, ‘একটি নতুন মন্দির উদ্বোধনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। সেখানে মানুষের যাওয়া উচিত। তবে তবে আসল মন্দিরের পুজোর ধরণ ও অন্যান্য পদ্ধতি বাকিদের থেকে আলাদা। সেটা যদি সব জায়গায় পালন করা হয়, তাহলে আসল মন্দিরের মৌলিকতা হারিয়ে যাবে… আমরা একটি অ্যাডভাইজারি জারি করেছি, আমাদের মন্দিরের (পুরীর জগন্নাথ মন্দির) কর্মীরা অন্য কোনও মন্দিরে কাজ করতে পারবে না’।

উল্লেখ্য, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath Temple) পুজো দিতে, দর্শন করতে দেশের নানান প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ছুটে যান। রথযাত্রা সহ বছরের বিশেষ কিছু দিনে সেখানে উপচে পড়ে পুণ্যার্থীদের ভিড়। সেই মন্দিরের আদলেই বাংলার ‘সৈকত শহর’ দিঘায় একটি জগন্নাথ মন্দির গড়ে তোলা হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হলেও আসল মন্দিরের সংস্কৃতি ও রীতিনীতি সংরক্ষণের পক্ষেই সওয়াল করলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি।