বাংলাহান্ট ডেস্ক : পহেলগাঁও হামলার পর কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হন প্যারা কমান্ডো ঝন্টু আলি শেখ। গত শনিবারই তাঁর দেহ কফিনবন্দি হয়ে ফিরেছে। মতো ব্যারাকপুরে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় ভারতের এই বীর সন্তানকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহত প্যারা কমান্ডোর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
নিহত ঝন্টু আলি শেখকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
এদিন তিনি বলেন, নিহত ঝন্টু আলি শেখের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পরিবারকে সহায়তার কথা জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমিও স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার থেকে এসেছি’। নিহত প্যারা কমান্ডোকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গে পহেলগাঁও ঘটনার দোষীরাও উপযুক্ত শাস্তি পাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি (Suvendu Adhikari)।
জঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত প্যারা কমান্ডো: নিহত তেহট্টের বাসিন্দা ঝন্টু আলি শেখ দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে রয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। ভারতীয় সেনার 6 PARA SF এর হাবিলদার তিনি। দেড় বছর আগে কাশ্মীরে পোস্টিং হয় তাঁর। পহেলগাঁওতে হামলার ঘটনার পরেই জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় সেনা অভিযান। তন্নতন্ন করে চলে খোঁজ। উধমপুরে সেনা জঙ্গি এনকাউন্টারের সময়ে কাঁধে গুলি লাগে ঝন্টুর।
আরো পড়ুন : হাড়ে হাড়ে টের পাবে পাকিস্তান, সিন্ধু চুক্তি বাতিলের পর এবার জল আর আকাশপথেও নিষেধাজ্ঞা জারির পথে ভারত?
ভাইয়ের জন্য গর্বিত দাদা: নিহত প্যারা কমান্ডোর দাদা রফিকুল শেখও দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে রয়েছেন সেনায়। আর্টিলারি রেজিমেন্টের সুবেদার তিনি। তাঁর কাঁধে চেপেই ফিরেছে ছোট ভাইয়ের কফিনবন্দি দেহ। ভাইকে হারানোর শোকের মাঝেও দেশকে বাঁচানোর জন্য তাঁর আত্মত্যাগে গর্বিত তিনি (Suvendu Adhikari)। গর্ব করছেন ঝন্টুর স্ত্রীও। একসময় আগ্রায় ছিলেন নিহত প্যারা কমান্ডো। তাঁর স্ত্রী সন্তান থাকেন সেখানেই।
আরো পড়ুন : গভীর জঙ্গলে ঝরনার জলে ভাসছে মৃতদেহ! ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ অভিনেতার রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য
জঙ্গিদের উপরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ঝন্টুর স্ত্রী বলেন, ‘আমরাও ধর্মে মুসলিম। কিন্তু ওদের মনে বিদ্বেষ। ওরা মুসলিম নয়। আমার স্বামীও পছন্দ করতেন না। বলতেন, ধর্ম এক হলেও ওদের সঙ্গে কোনো মিল নেই’। কাশ্মীরের ঘটনায় সন্ত্রাস তথা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ওই ঘটনায় যুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না।