এখনও মেলেনি বহু প্রশ্নের উত্তর! আরজি কর মামলায় CBI-কে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল হাইকোর্ট

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) দীর্ঘদিন ধরে সরগরম বাংলা। গত বছর আগস্ট মাসের ৯ তারিখ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃতদেহ। ধর্ষণ, খুনের এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাকে। এরপর দেখতে দেখতে প্রায় ৮ মাস কেটে গেলেও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা। এবার সেই প্রেক্ষিতেই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে (CBI) বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

কী নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)?

সম্প্রতি আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ডে শিয়ালদহ আদালতে তৃতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সেখানে নতুন করে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের কথা উল্লেখ রয়েছে ও ২০০টি ভিডিও ক্লিপিংয়ের ওপর নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে এখনও এই মামলায় এমন কিছু প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর অধরা। নির্যাতিতার পরিবারও একাধিকবার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

আরজি কর (RG Kar Rape Case) ধর্ষণ খুন কাণ্ডে এখনও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। প্রথম, নিহত তরুণী চিকিৎসকের উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ১ ইঞ্চি। সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, ভোর ৪:০৩ থেকে ৪:৩৮ মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে কি ওই আঘাতগুলি করা কি সম্ভব? দ্বিতীয়, হাইকোর্টের তরফ থেকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া পর সেমিনার রুমের পাশের দেওয়াল কেন, কী উদ্দেশে ভাঙা হয়েছিল? কার নির্দেশে এই কাজ হয়?

আরও পড়ুনঃ বেতন বাড়ছে ‘এই’ কর্মীদের! ছাড়পত্র দিয়ে দিল অর্থ দফতর! কত টাকা বেশি মিলবে?

এছাড়া সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এই কাজ কি একজনের পক্ষে করা সম্ভব? নির্যাতিতা কি ঘটনার সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি? সিবিআই চার্জশিট বলছে, অভিযুক্ত সেই সময় মদের নেশার ছিলেন। তাহলে ওই সময়কালের মধ্যে এই নৃশংস কাজ তাঁর একার পক্ষে করা কি আদৌ সম্ভব? এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

Calcutta High Court

এই বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতির মত, নিম্ন আদালতে এখনও বিচার চলছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। ট্রায়াল কোর্টে চার্জ গঠন, একজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। চার্জ গঠন করার সময় ভাষা কী ছিল সেটা জানা নেই। তাই ফের তদন্তের জন্য তথ্য দরকার। সেক্ষেত্রেই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। আগামী ১৬ মে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যেই এই মামলায় কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। নিম্ন আদালতে এখনও এই মামলার বিচার চলছে।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X