বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তোলপাড় বাংলা। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে একাধিক ‘প্রভাবশালী’র। দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত এগনোর সঙ্গে সঙ্গেই সামনে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার এই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতেই ইডির (Enforcement Directorate) মামলা নিয়ে বড় খবর! রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সাবেক সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) নিয়ে বড় খবর!
সম্প্রতি রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম দুই অভিযুক্ত পার্থ ও মানিকের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডিকে অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার এই বিষয়ক অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ নং ধারা মেনে নিজের সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজ্যপালের অনুমতি দেওয়ায় এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এর আগেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে পার্থের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের জন্য রাজ্যপালের সম্মতি চাওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সিবিআইকে ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডিকে সেই অনুমোদন দিয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়া নয়, মমতার সঙ্গে হাসিমুখে বৈঠকেই সমস্যা! দিলীপকে ফের নিশানা তরুণজ্যোতির
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ ও তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে আগেই মামলা করেছিল ইডি। তবে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতি দরকার ছিল। বুধবার সেই বিষয়ক অনুমতি মিলল।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বিগত আড়াই বছরের অধিক সময় ধরে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কিছুতেই জেলমুক্তি হচ্ছে না প্রাক্তন মন্ত্রীর। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Recruitment Scam) পার্থ ও মানিকের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে ইডিকে অনুমতি দিয়ে দিলেন রাজ্যপাল বোস। এর ফলে দু’জনের চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।