বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই আবহে পার্কস্ট্রিটে (Park Street) ‘জতুগৃহ’ খুঁজলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গেই দমকলমন্ত্রী, কলকাতার মেয়র ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে বড় নির্দেশ দিয়ে দিলেন তিনি।
ফিরহাদ-সুজিতদের কী নির্দেশ দিলেন মমতা (Mamata Banerjee)?
মঙ্গলবার বড়বাজারের হোটেলে যখন দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে, মুখ্যমন্ত্রী তখন দিঘায়। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সোমবারই সৈকত শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। গতকাল উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরেছেন। এরপরেই সোজা বড়বাজারের ঘটনাস্থলে চলে যান মমতা। সেখান থেকে হঠাৎ করেই পার্কস্ট্রিটের উদ্দেশে রওনা দেন।
মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর গন্তব্যের বিষয়ে তখনও স্পষ্ট ধারণা ছিল না দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ও কলকাতার সিপি মনোজ কুমার ভার্মার। পার্কস্ট্রিট এলাকায় মমতা দেখতে পান, একটি মার্কেটে রাস্তার পাশে রাখা অজস্র গ্যাস সিলিন্ডার। সেটা দেখার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুনঃ দিলীপকে নিয়ে টানাটানি! কোলাঘাটে বিক্ষোভের মুখে BJP নেতা! গর্জে উঠলেন স্ত্রী রিঙ্কু
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দমকল কী করবে! ধোঁয়া তো নেভাতে পারে না। এরপরেও যদি এত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ করে তাহলে তো অনেক মানুষের মৃত্যু হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে? আমরা কি রাখতে বলেছি?’
জানা যাচ্ছে, মমতা যখন ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন, তখন তাঁর পিছনেই মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফিরহাদ, সুজিত, মনোজ। তাঁদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, অবিলম্বে বৈঠকে বসতে হবে।
মমতা বলেন, ‘দমকলমন্ত্রী, কলকাতার মেয়র ও কলকাতা পুলিশ কমিশনার এখনই বৈঠকে বসবে। এভাবে ছাদ বন্ধ করে রেস্টুরেন্ট চলতে পারে না’।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পার্কস্ট্রিটে ছাদ বন্ধ করে গড়ে ওঠা এই রেস্টুরেন্টে কয়েকদিন আগে তাঁর একজন পরিচিত এসেছিলেন। তাঁর থেকেই এই জায়গার কথা জানতে পারেন। আজ সকালে বড়বাজার থেকে আচমকাই সেখানে হানা দেন। পুলিশ, দমকল ও পুরসভাকেও (Kolkata Municipal Corporation) মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে ভিজিট করার পরামর্শ দেন মমতা। সেই সঙ্গেই সাধারণ মানুষকেও সজাগ থাকতে বলেন।
উল্লেখ্য, বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গোটা সরকার দিঘায় ছুটি কাটাতে গিয়েছিল’ বলেও তোপ দাগেন তিনি। এবার পার্কস্ট্রিটে ‘জতুগৃহ’ দেখতেই ফুঁসে উঠলেন মমতা (Mamata Banerjee)। দমকলমন্ত্রী, মেয়র ও কলকাতার সিপিকে অবিলম্বে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেন তিনি।