বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৬০০০ চাকরি বাতিল কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য (SSC Scam)। এরই মধ্যে এ বার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম দরবারে (Supreme Court) রাজ্য সরকার (West Bengal Government) এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগেই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিল SSC. এবার রায় ঘোষণার এক মাসের মাথায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল হল শীর্ষ আদালতে। আগামী ৮ মে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
SSC ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ | Supreme Court
নিয়োগ দুর্নীতির জেরে গত এপ্রিল মাসে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এক ধাক্কায় যোগ্য, অযোগ্য মিলিয়ে চাকরি গিয়েছে ২৫৭৩৫ জনের। এভাবে কলমের খোঁচায় গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। হকের চাকরি ফেরত চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। এবার বড় পদক্ষেপ SSC-র।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, আগামী বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলা শুনানির জন্য উঠবে। এখানে উল্লেখ্য, আগামী ১৩ মে প্রধান বিচারপতি খন্না অবসর নেবেন। তার আগে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। যদিও মূল মামলাকারীদের আইনজীবীদের মতে পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি খুইয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন চাকরিহারাদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ও এসএসসি এবং আগেই জানিয়েছিল, পুরো রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি (রিভিউ পিটিশন) জানানো হবে সুপ্রিম কোর্টে। সেইমতো আবেদন জানাল রাজ্য।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/69KS2m13HuI?si=879t597fC-t-1E8c
প্রসঙ্গত, এর আগে রায়ে সাময়িক পরিবর্তন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল পড়ুয়া সহ মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথায় মাথায় রেখে রায়ে পরবর্তনের জন্য আবেদন করা হয়। পর্ষদের আবেদন ছিল, এত সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি এক সঙ্গে বাতিল হলে শিক্ষাব্যবস্থায় বড়সড় ধাক্কা লাগবে। শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে যেতে পারে। এরপর গত ১৭ এপ্রিল পর্ষদের আবেদন মেনে সাময়িক রায় পরিবর্তন করে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: কুখ্যাত কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে অর্জুন-যোগ? তৃণমূলের ‘দলবদলু’দের মুখোশ খোলার হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের
সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, দাগি নন এমন ও অযোগ্যদের বাদ রেখে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকেরা ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন। তাঁদের বেতনও বহাল থাকবে তবে ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।