বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর মাত্র বছরখানেকের অপেক্ষা। আগামী বছর রাজ্যে ফের বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে নানান রাজনৈতিক দল। এই আবহে বিজেপির গড়ে ৬৫টি আসনে জয়ী হল তৃণমূল (Trinamool Congress)। মাত্র ২টি আসনে জিতেছে পদ্ম শিবির (BJP)। খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ‘খাসতালুকে’ এই ফলাফল হয়েছে।
সবুজ ঝড়ে বেসামাল পদ্ম!- (Trinamool Congress)
শহর থেকে গ্রাম, বিগত কয়েক মাসে রাজ্যের নানান প্রান্তে সমবায় ভোট হয়েছে। রবিবার এগরার চোরপালিয়া সমবায় সমিতি নির্বাচন ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৬৭টি আসন বিশিষ্ট এই সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল। সেই পরিস্থিতিতেই ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। সন্ধ্যা নাগাদ ভোটগণনা শেষ হওয়ার দেখা যায়, ৬৫টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বাকি ২টি আসনে জিতেছে বিজেপি।
এই সমবায় সমিতির ভোটে প্রথমে শোনা যায়, বাম-বিজেপি একজোট হয়ে লড়াই করছে। এই বিষয়ে ঝাড়েশ্বর বেরা নামের সিপিএমের এক জেলা নেতা বলেন, ‘জোটের অভিযোগ সঠিক নয়। তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস করেছে। জয়ী হতে পারবে না ভেবে ভোট লুট করে জিতেছে’।
আরও পড়ুনঃ পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ! হাইকোর্টে ছুটলেন মুর্শিদাবাদে নিহত বাবা-ছেলের পরিবার, পাশে সজলরা
এগরার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তরুণকুমার মাইতির গলায় শোনা গিয়েছে অবশ্য ভিন্ন সুর। তিনি বলেন, ‘বছরভর তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে থাকে। বিজেপির সন্ত্রাস ও অন্যায় কাজে সাধারণ মানুষ তিতিবিরক্ত। সেই জন্য এবার উন্নয়নকেই বেছে নিয়ে মানুষ’।
এখানেই না থেমে তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলে যতগুলি সমিতি নির্বাচন হয়েছে, ততগুলি সমিতিতে আমরা জিতেছি। গোটা বছর তৃণমূল নেতৃত্ব আমজনতার পাশে থাকে। ফলে আমরা প্রত্যেকটি ভোটে জিতি’।
এদিকে এই ভোটে জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল বিশেষভাবে সকলের নজর কেড়েছে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই এলাকা বিজেপির দখলে থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা প্রচুর ভোট পেয়েছে। যদিও বিজেপি নেতা অরূপকুমার দাসের গলায় উল্টো দাবি শোনা গিয়েছে।
অরূপ বলেন, ‘২০১২ সালে এই সমবায়ে শেষবারের মতো ভোট হয়েছিল। তখন বিজেপির একজন প্রতিনিধিও ছিল না। এবার দু’জন বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সেদিক থেকে এই নির্বাচনে বিজেপির নৈতিক জয় হয়েছে বলাই যায়’। পদ্ম নেতার দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা ভোট লুট ও হুমকির মাধ্যমে এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা ভোট। তার আগে একের পর এক সমবায় নির্বাচনে বাজিমাত করছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এর ফলে শাসকদলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।