বাংলাহান্ট ডেস্ক : পহেলগাঁও হামলার পরেই পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে একের পর এক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে চলেছে ভারত। অন্যদিকে পালটা যুদ্ধের জিগির তুলতে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের। কিন্তু তাঁদের সেনাবাহিনীর পরিস্থিতি বলছে, আদৌ যুদ্ধ করার মতো ক্ষমতাই নেই তাঁদের। আর এবার নতুন গুঞ্জন বলছে, ১০০ দিনের কাজের মতো জওয়ান নিয়োগ করতে হবে পাকিস্তান (Pakistan) সেনাবাহিনীকে। অন্তত তাদের যা পরিস্থিতি তাতে এমনটাই মনে করছে একাংশ।
দিনমজুর হিসেবে নিয়োগ হচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan) সেনাবাহিনীতে
রবিবার একটি চিঠি ফাঁস হয়েছে যা নাকি গোপনে পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাপ্রধানকে। সেই চিঠিতে সেনার হাতখরচ থেকে খাদ্য খরচ, অস্ত্র ভাণ্ডারেও ঘাটতি রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। সেনাপ্রধানকে এমনটাই জানিয়েছিলেন এক সেনাকর্তা। এবার ফাঁস হল আরো এক চিঠি। সেনাবাহিনীতে ঘাটতি মেটাতে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে ওই চিঠিতে।
ফাঁস হয়েছে নতুন চিঠি: যেমনটা জানা যাচ্ছে, ট্রাইবাল ফাইটার নিয়োগ শীর্ষকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওমর বোখারিকে। ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনস কাশিফ আবদুল্লাহ নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন বলে খবর। ওই চিঠিতে ডিরেক্টর জেনারেল লিখেছেন, নতুন নিয়োগে যুবকদের দিন প্রতি একটা হাত খরচ দেওয়া হবে। দিনের টাকা ওইদিনই মিটিয়ে দিলে জওয়ানরাও উদ্যম পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন : ‘নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার’, সুরক্ষা চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট-রাজ্যপালকে চিঠি মুর্শিদাবাদের নিহতদের পরিবারের
পাক সেনাবাহিনীতে ইস্তফার ধুম: কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, পহেলগাঁও হামলার পরেই পাক (Pakistan) সেনাবাহিনীতে গণ ইস্তফার ধুম উঠেছিল। পরপর ১২০০ জন সেনাজওয়ান ইস্তফা দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে কেউ নাকি কাজই করতে চাইছে না। জওয়ানের আকালের জেরে দ্রুত এলাকার যুবকদের সেনাবাহিনীতে ঢুকিয়ে দেওয়ার নিদান দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে এলাকার আদিবাসী যুবকদের নিয়োগ না করা হলে যুদ্ধ বেঁধে গেলে আর সামাল দেওয়া যাবে না।
আরো পড়ুন : সন্ত্রাসবাদীদের হিটলিস্টে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী? একটি সিদ্ধান্তেই ভেস্তে যায় হামলার ছক!
উল্লেখ্য, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হতে চলেছে একেবারে ভিন্ন। চিঠিতে বলা হয়েছে, এটি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হতে চলেছে। কোনো স্থায়ী নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে না। মুজাহিদিন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হবে। কিছুদিন আগে ভারতীয় সীমান্তের পাখতুনখাওয়ার মতো পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে একাধিক ফ্রন্টিয়ার থেকে বহু সেনা জওয়ান ইস্তফা দিয়েছে। তাই ওই অঞ্চলেই আদিবাসী নিয়োগে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।