দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ‘ধাম’ নিয়ে বিতর্ক! পুলিশের দাবি উড়িয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘পর্দাফাঁস করে দিয়েছি’

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উদ্বোধনের পর থেকেই শিরোনামে রয়েছে দিঘার জগন্নাথ ধাম (Jagannath Temple Digha)। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও চর্চা অব্যাহত। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের অদূরে জাতীয় সড়কের পাশে ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা যে কাঠামো ছিল, সেটা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাল্টা সেই দাবি খারিজ করে দেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার ফের এই নিয়ে মুখ খুললেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

পুরনো অবস্থানে অনড় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)!

গতকাল রাতে পুলিশ দাবি করে, ‘জগন্নাথ ধাম’ উধাও বলে যে দাবি করা হচ্ছে তাতে কোনও সত্যতা নেই, সবটাই গুজব। যদিও সেকথা মানতে চাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশকে কড়া আক্রমণ করেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক।

এদিন সল্টলেকে দলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সময় শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশকে দিয়ে ফের ধাম লেখা টাঙিয়ে টুইট করেছে! ওদের পর্দাফাঁস করে দিয়েছি। সম্পূর্ণ পুলিশটাকেই তো চিটিংবাজে পরিণত করেছে’।

আরও পড়ুনঃ বাঘের থাবার টানে নিখোঁজ, মেলেনি মৃতদেহ! রাজ্যকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham) বিতর্কই শুধু নয়, এদিন মুর্শিদাবাদ অশান্তি নিয়েও মুখ খোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘বিএসএফ না থাকলে পুলিশই শেষ হয়ে যেত! মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় ৩৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। অশান্তিকারীরা পুলিশদের শেষ করে দিত’।

Suvendu Adhikari on West Bengal Police

মুর্শিদাবাদে অশান্তি শুরু হওয়ার পর পরই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো আগামী ১৫ মে অবধি সেখানে বাহিনী থাকবে। তবে এদিন ‘নবাবের শহরে’ স্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানান শুভেন্দু।

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ অশান্তি থেকে দিঘার জগন্নাথ ধাম, একাধিক ইস্যুতে বর্তমানে সরগরম বাংলা। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সৈকত শহরে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন যেতে না যেতেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করলেন, মন্দিরের অদূরে জাতীয় সড়কের পাশে ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা কাঠামো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সেই দাবি খারিজ করে দিলেও নিজের অবস্থানে অনড় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X