বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওয়াকফ আইন (Waqf Law) বিরোধী প্রতিবাদে জ্বলে উঠেছিল মালদহ, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তীর্ণ এলাকা। আপাতত কিছুটা শান্ত হয়েছে পরিস্থিতি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ যাত্রা করেন মমতা (Mamata Banerjee)। সুতিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একদিকে যখন কাশ্মীরে শহিদ জওয়ানের স্ত্রী ও ছেলের হাতে ১০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, অন্যদিকে সেইসময় সল্টলেকে মানবাধিকার কমিশনের অফিসের সামনে ধর্না-বিক্ষোভে সামিল হন শুভেন্দু। (Suvendu Adhikari)
মমতাকে কড়া আক্রমণ শুভেন্দুর | Mamata Banerjee, Suvendu Adhikari
এদিন মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়ে মমতা বলেন, অনেকেই জেলা ছেড়ে চলে গেছেন। যারা আছেন তাদের সঙ্গেই তিনি দেখা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন। তবে মমতা এও স্পষ্ট করে বলেন, কেউ যদি ক্ষতিপূরণ না নেয় তাহলে কিছু করার নেই। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ ইস্যুর অশান্তির জেরে মৃত হরগোবিন্দ এবং চন্দন দাসের পরিবার সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা ফিরিয়েছে। এই ইসুতেই এবার মমতাকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা বলেন বক্তব্য, এমন ঘটনায় বোঝা যায় একাংশ মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করেছে। মমতাকে জোর কটাক্ষ করে গেরুয়া বিধায়ক বলেন, ”হরগোবিন্দ এবং চন্দন দাসের পরিবার সরকারের তরফে দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা নেননি। তবে আমাদের তরফে এনজিও-র মাধ্যমে যে ১০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছিল সেটা তাঁরা গ্রহণ করেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন কারা আসল হিন্দু।”
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/UEqTNFwrhgk?si=t4wsEmdcESxdtBtk
এই প্রসঙ্গ টেনেই শুভেন্দু বলেন,’ মুখ্যমন্ত্রীর ১৪ বছরের রাজত্বে এই প্রথমবার তিনি হিন্দু সমাজের দ্বারা বয়কট হয়েছেন।” তিনি বলেন ,’ মাথাবাড়ি, ধুলিয়ান, সামসেরগঞ্জে সব হিন্দু গ্রাম মমতাকে, বয়কট করেছে। প্রত্যেকে বাড়িতে কালো পতাকা তুলেছে। তাঁরা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে লড়াই করে এসেছে, রাজ্য মানবধিকার কমিশনের সামনে, ধর্না অবস্থান শুরু করেছে। হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের পরিবারও সেখানে রয়েছে। সরকারকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘মুর্শিদাবাদকে হিন্দুশূন্য করার চক্রান্ত..’ !
আরও পড়ুন: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ‘ধাম’ নিয়ে বিতর্ক! পুলিশের দাবি উড়িয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘পর্দাফাঁস করে দিয়েছি’
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ যাত্রা নিয়ে আগেও মমতাকে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। গতকালই বিরোধী দলনেতা বলেন, ”হিন্দুরা যাতে নিজেদের সমস্যার কথা না বলতে পারেন সেজন্য তাদের গ্রাম ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। যে দুটি ওয়ার্ডের তথ্য মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন তা মিথ্যে।” ১০ জায়গার অন্তত ৯০০ দোকান-বাড়ি ভাঙা হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু।