বাংলাহান্ট ডেস্ক : পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই পরপর আঘাত প্রত্যাঘাত চলছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী স্পষ্ট জানিয়েছিল, পাক সেনার কোনো ক্যাম্প বা সাধারণ নাগরিকদের উপরে নয়, বরং পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিই লক্ষ করে আঘাত হানা হয়েছে। কিন্তু পালটা প্রত্যাঘাতে যেভাবে শেলিং চলছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, বারে বারে অসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এর মাঝেই সাম্বা জেলার সীমান্তে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সন্দেহে অনুপ্রবেশকারী ৭ জন জঙ্গিকে নিকেশ করল বিএসএফ (Border Security Force)।
সাম্বা সীমান্তের কাছে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখল বিএসএফ (Border Security Force)
জানা যাচ্ছে, ৮ ই মে রাত ১১ টা নাগাদ সাম্বা সীমান্তের কাছে সন্দেহজনক কিছু গতিবিধি নজরে আসে বিএসএফ এর (Border Security Force)। এক্স হ্যান্ডেলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, সাম্বা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে একটি বড়সড় অনুপ্রবেশ আটকে দিয়েছে বিএসএফ (Border Security Force)। ক্যামেরা চিত্রে ধরা পড়েছে, পাকিস্তানের ধাঁধর পোস্টে পরপর বিষ্ফোরণে সাতজন জইশ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে বিএসএফ।
পালটা হামলা চালানোর চেষ্টা পাকিস্তানের: বৃহস্পতিবার রাতেই ফের ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক জায়গায় ড্রোন, মিসাইল হামলা শুরু করে পাকিস্তান। জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুরের মতো এলাকায় হামলার চেষ্টা করা হয়। পালটা ড্রোন এবং মিসাইল প্রতিহত করে ভারত গুলি করে নামায় পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং একটি AWACS এয়ারক্রাফট।
আরো পড়ুন : ঘরে ঢুকে মারছে ভারত! ‘পিন্ডির ভেতরে পৌঁছে যাচ্ছে’, শেহবাজ শরিফকে নিশানা ইমরান খানের বোনের
অপারেশন সিঁদুরের পরেই প্রত্যাঘাতের চেষ্টা: উল্লেখ্য, ভারতের অপারেশন সিঁদুর এর একদিন পরেই ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। মধ্যরাতে অপারেশন সিঁদুর-এ পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯ টি জায়গায় হামলা চালায় ভারত। একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে অন্তত ১০০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়।
আরো পড়ুন: ‘আশা করি পরমাণু সংঘাতে গড়াবে না’, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা
উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তান একাধিক জায়গায় হামলা চালানোর চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। একটি পাকিস্তানি ড্রোনকেও ভারতীয় ভূখণ্ড ছুঁতে দেয়নি সেনা।