মিনাখাঁয় যৌন লালসার স্বীকার নাবালিকা,গ্রেফতার বাবা ও স্বামী

 

অর্ণব মৈত্রঃ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , বেশ কয়েক দিন ধরে মিনাখাঁ বিভিন্ন জায়গায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলো বছর বারোর একটি মহিলা।এলাকার আশা এনজিও নামে স্বেচ্ছাবেসী সংস্থার কর্মীরা তাকে জিস্যাসাবাদ করে জনাতে পারে যে, তার বাড়ি ন্যাজাট থানার ট্যাংরামারী গ্রামে। ওই নাবালিকা তার সৎ বাবা নিয়ে মিনাখাঁর একটি ইঁট ভাঁটায় শ্রমিকের কাজ করতো। সৎ বাবা ওই নাবালিকা কে প্রায় প্রায় যৌন অত্যাচার করতো। বেশ কয়েক মাস ধরে যৌন অত্যাচার করার পর, মাস খানেক আগে কলকাতার বাগবাজার এলাকার জয়ন্ত মণ্ডল নামে বছর বাইশের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয় নাবালিকার সৎ বাবা বাঙালি সর্দ্দার। বিয়ের পর ওই নাবালিকা কে তার স্বামী জয়ন্ত মণ্ডল প্রায় তার সঙ্গে যৌন অত্যাচার করতো। স্বামীর যৌন অত্যাচার অতিষ্ঠ হয়ে ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে আসলে আবার তার বাবা তার সঙ্গে যৌন অত্যাচার শুরু করে। একদিকে বাবার যৌন অত্যাচার অপর দিকে স্বামীর যৌন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলো ওই যৌন অত্যাচারের শিকার হওয়া নাবালিকা। তারপর বুধবার বিকেল ওই নাবালিকা কে সঙ্গে নিয়ে মিনাখাঁর আশা এনজিও নামে স্বেচ্ছাবেসী সংস্থার কর্মীরা মিনাখাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

 

IMG 20190801 WA0044

অভিযোগের ভিত্তিতে মিনাখাঁ থানার পুলিশ ওই সৎ বাবা বাঙালি সর্দ্দার ও স্বামী জয়ন্ত মণ্ডল বাগবাজার থেকে গ্রেফতার করে। আজ বৃহস্পতি বার ধৃত দের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন চেয়ে বসিরহাট আদালতে পাঠানো পাঠিয়েছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।


সম্পর্কিত খবর