নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর দশা নিয়েই যুদ্ধের জিগির, পাকিস্তানকে ভাতে মারতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিল ভারত

Last Updated:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগেই শোনা গিয়েছিল, পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার বিরোধিতা করবে ভারত (India-Pakistan)। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের বৈঠকে সেকথা সত্যি করেই তীব্র আপত্তি প্রকাশ করল নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণ না দেওয়াই উচিত। নয়তো সেই অর্থও সীমান্তে নাশকতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পাকিস্তান (India-Pakistan) কাজে লাগাতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। অর্থ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনায় ভোট দান থেকে বিরত থেকেছে ভারত।

পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিরোধিতা ভারতের (India-Pakistan)

অফিশিয়াল বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এক দায়িত্বশীল এবং সক্রিয় দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণ দেওয়া নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করছে ভারত (India-Pakistan)। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং ঋণের টাকা দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে পুষ্ট করার আশঙ্কা থেকেই এই ঋণ না দেওয়ার বিষয়ে সরব হয়েছে ভারত।

India-Pakistan conflict regarding imf tenses

ঋণের টাকায় জঙ্গিদের ভরনপোষন: বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২০২১ সালের রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছিল, সেনা সম্পর্কিত ব্যবসা পাকিস্তানে বৃহত্তম। পরিস্থিতি এখনো বদলায়নি। বরং বর্তমানে সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিশেষ ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কাউন্সিলে মুখ্য ভূমিকা পালন করে’। এমনি দাবি তুলে আইএমএফ এর প্রস্তাবিত পাকিস্তানকে (India-Pakistan) ১.৩ বিলিয়ন ডলার বেলআউট প্যাকেজের উপরে ভোটদানের থেকে বিরত থাকল।

 আরো পড়ুন : লাগাতার মিথ্যাচার, নীচতার সীমা অতিক্রম করে মন্দির-গুরুদ্বারা-চার্চকে নিশানা পাকিস্তানের

ভোটদান থেকে বিরত ভারত: ভারতের (India-Pakistan) যুক্তি, পাকিস্তানকে ঋণ প্রদান মানেই পরোক্ষে সামরিক গোয়েন্দা অভিযান এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করা। সেই সঙ্গে নয়াদিল্লি আরো দাবি করেছে, পাকিস্তান নিজেই ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তার জেরে এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের কাছেও আদর্ণ ঋণ গ্রাহকের বিবেচনা পাচ্ছে না।

আরো পড়ুন : সম্পূর্ণ ব্ল্যাক আউটের মধ্যেই পরপর বিষ্ফোরণ জম্মু-পাঠানকোট-আখনুরে, পাকিস্তানি ড্রোন উড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা

উল্লেখ্য, , ২০২৪ সালে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়ায় ১৩০ বিলিয়ন ডলারে। আইএমএফ এর তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৫০ সাল থেকে মোট ২৫ বার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে বিশ্ব ব্যাঙ্কও ৪৮ বিলিয়নেরও বেশি অর্থ সাহায্য করেছে। তার মধ্যেই ২০ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘমেয়াদী ঋণের জন্য গত জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তি করে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, আগে থেকেই ওই দেশের অর্থনীতি রীতিমতো সঙ্কটজনক হয়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় ঋণ আটকে গেলে যুদ্ধ তো দূর, দেশবাসীর পেটে খাবার জোগাতে মাথায় হাত পড়বে পাকিস্তানের। তবে সাম্প্রতিক পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও ১ বিলিয়ন ডলার লোন পাকিস্তানকে দিয়েছে আইএমএফ।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

X