বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চলছে। দুই পড়শি দেশের সংঘাত বিরাট আকার নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মহিলা সেনাকর্মীদের নিয়ে বড় মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্য কান্ত (Justice Surya Kant) ও বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিং (Justice N Kotiswar Singh) বলেন, এখন মহিলা সেনাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর সময়।
কোন মামলায় এই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?
ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে ভারতীয়দের কাছে অতি পরিচিত দুই মুখ হয়ে উঠেছেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কম্যান্ডার ব্যোমিং সিং। বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রীর পাশে দেখা যায় তাঁদের। কর্নেল কুরেশি ও উইং কম্যান্ডার সিংয়ের মতোই অগুনতি মহিলা সেনাকর্মী দেশের প্রতি নিজের জীবন সমর্পিত করেছেন। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দেশরক্ষার কাজ করেন তাঁরা। এখন এই মহিলা সেনাকর্মীদের পাশে থাকার সময়। তাঁদের পরিষেবা এখন কাজে লাগাতে হবে। ইন সার্ভিস কিংবা কর্মরত মহিলা সেনা আধিকারিকদের রিলিজ বা অবসরপ্রাপ্তি বিষয়ক বিতর্কে এমনই মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত।
জানা যাচ্ছে, পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রেক্ষিতে অপারেশন সিঁদুরের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনার (Indian Army) পরাক্রমের কথা এদিন উল্লেখ করে এদেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, এদেশের সেনাবাহিনীর পাশে থাকার পাশাপাশি তাঁদের মানসিক জোর বাড়ানোর দায়িত্ব প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিককে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ভারত-পাক সংঘাতের আবহে ব্যাঙ্ক-বিমা কোম্পানিগুলিকে বড় নির্দেশ! কী বললেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা?
এদিন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটির উদ্দেশে জাস্টিস কান্ত বলেন, এই রকম পরিস্থিতিতে তাঁদের আদালতে সময় কাটানো ঠিক নয়। মামলাকারীদের যথাযথ স্থানে কাজের সুযোগ রয়েছে। আদালত চায়, তাঁদের মনোবল অটুট থাকুক। তাঁদের বিষয়টি অবশ্যই যৌক্তিকতার সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। তবে এখন তাঁদের পরিষেবা কাজে লাগানো হোক। এই অফিসাররা নির্দিষ্ট কাজের জন্য উপযুক্ত নন, এমন নয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল গীতা শর্মা, মহিলা শর্ট সার্ভিস কমিশনের মামলায় এদিন জানানো হয়, তাঁকে তাঁর পোস্টিং থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে চাকরি থেকে ডিসমিস করা হয়নি। ফলে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হোক। এদিন কর্নেল কুরেশির প্রসঙ্গ টেনে আনেন শর্মার আইনজীবী।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ভারতের মহিলা সেনা অফিসারদের পার্মানেন্ট কমিশন দেওয়া নিশ্চিত না করলে কর্নেল কুরেশি এই সুযোগ পেতেন না। জানা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট এদিন কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়নি। তবে মামলার আগামী শুনানি অবধি এই মহিলা সেনাকর্মীদের চাকরি বহাল রাখার পক্ষে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে সুনিপুণ দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে ভারতীয় সেনা। নিজের ‘ঘর’ রক্ষা করার পাশাপাশি ‘শত্রু’ দেশেও পাল্টা হামলা চালানো হচ্ছে। এটা মহিলা সেনাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর সময়, এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালতের কথায়, সেনাবাহিনীর পাশে থাকার পাশাপাশি তাঁদের মনোবল বাড়ানোর দায়িত্ব সকল ভারতীয়কে নিতে হবে।