বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে চরমে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা। পাহেলগাঁও হামলার ঘটনায় পাক জঙ্গি গোষ্ঠীর যুক্ত থাকার প্রসঙ্গ সামনে আসার পর থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত, শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই সফলভাবে “অপারেশন সিঁদুর” সম্পন্ন করার মাধ্যমে একাধিক জঙ্গিঘাঁটিও ভারত ধ্বংস করেছে। তারপর থেকেই প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যে বারংবার ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ করছে পাকিস্তান। এদিকে, ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের দু’টি JF-17 ও F-16 যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। এমতাবস্থায়, অনেকেই ভারতের রাফাল বিমানের সাথে JF-17 বিমানের (Rafale Vs JF-17) ক্ষমতার তুলনামূলক বিচার করছেন। যেটি থেকে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে রাফাল যুদ্ধবিমান এই তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বর্তমান প্রতিবেদনেও আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
রাফাল এবং JF-17 বিমানের (Rafale Vs JF-17) তুলনামূলক বিচার:
প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, JF-17 যুদ্ধবিমান চিনের সাহায্যে তৈরি করেছে পাকিস্তান। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান চিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অংশীদার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সম্প্রতি, পাকিস্তান তাদের বহরে চিনের JF-17 যুদ্ধবিমান যুক্ত করেছে। যদিও ভারতের উন্নত যুদ্ধবিমান তুলনায় এর প্রযুক্তি অত্যন্ত দুর্বল। অপরদিকে আমরা যদি রাফাল যুদ্ধবিমানের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে যে ভারত ফ্রান্স থেকে নিজেদের বহরে এই যুদ্ধবিমান যুক্ত করেছে। এর আগে ভারত ৩৬ টি রাফাল বিমান (Rafale Vs JF-17) কেনার কথা সামনে এনেছিল। তবে, সম্প্রতি পহেলগাঁও হামলার পর আরও ২৬ টি রাফাল বিমান কেনার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এমতাবস্থায়, শক্তি এবং সক্ষমতার দিক থেকে এই দুই যুদ্ধবিমানের তুলনামূলক বিচার উপস্থাপিত করা হল।
১. জেনারেশন এবং ক্লাস:
রাফাল: এই যুদ্ধবিমান ৪.৫ জেনারেশনের টুইন-ইঞ্জিন মাল্টিরোল ফাইটার হিসেবে বিবেচিত হয়।
JF-17: এটি ৪+ জেনারেশন সিঙ্গেল-ইঞ্জিন লাইটওয়েট ফাইটার।
২. রাডার এবং সেন্সার:
রাফাল: এই যুদ্ধবিমানে রয়েছে RBE2, AESA রাডার, IRST, SPECTRA EW Suite
JF-17: এতে রয়েছে KLJ-7A AESA রাডার, বেসিক EW। এক্ষেত্রে IRST সিস্টেম নেই।
আরও পড়ুন: “ভারত আক্রমণ বন্ধ করলে আমরাও পিছিয়ে যাব”, ভয় পেয়ে সুর নরম পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর
৩. অস্ত্র:
রাফাল: Meteor BVR বহনে সক্ষম। এছাড়াও, MICA IR, SCALP ক্রুজ মিসাইল এবং পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম।
JF-17: PL 15E বহনে সক্ষম। এর পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র ছাড়াও PL 10 এবং চিনা PGM বহনেও সক্ষম।
৪. সাফল্য:
রাফাল: এই যুদ্ধবিমান (Rafale Vs JF-17) আফগানিস্তান থেকে শুরু করে লিবিয়া সিরিয়া এবং ইরাকে সামরিক পরীক্ষিত হয়েছে।
JF-17: এই যুদ্ধবিমানের লড়াইয়ের নূন্যতম অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জল্পনাই হল সত্যি! টেস্টকে বিদায় জানাতে চান কোহলি, BCCI-এর কাছ থেকে পেলেন “বিরাট” পরামর্শ
৫. দাম:
রাফাল: এই যুদ্ধবিমানের মূল্য ১০০ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার
JF-17: এই যুদ্ধবিমানের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ান ডলার।
মতামত: অর্থাৎ উপরিউক্ত তুলনাগুলি থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, JF-17 বিমানের (Rafale Vs JF17) মূল্য কিছুটা কম হলেও প্রযুক্তিগত দিক থেকে শুরু করে ক্ষমতা এবং বহুমুখী কার্যকলাপের ক্ষেত্রে রাফাল যুদ্ধবিমান অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: