বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি বছরের শুরুর ঘটনা। দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা তথা মালদহের প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুলাল সরকার (Dulal Sarkar)। দিনেদুপুরে শাসকদলের নেতাকে এভাবে খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। এবার তাঁর স্ত্রীয়ের হাতেই বড় দায়িত্ব তুলে দিল তৃণমূল (TMC)। শুক্রবার সেকথা সামনে এসেছে।
দুলালের স্ত্রীকে কী দায়িত্ব দিল জোড়াফুল শিবির (Trinamool Congress)?
তৃণমূলের অন্যতম পুরনো সৈনিকদের মধ্যে একজন ছিলেন দুলাল। ইংলিশবাজার পুরসভার ২৫ বছরের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গেই মালদহের জেলা সভাপতির দায়িত্বও সামলেছিলেন। শোনা যায়, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুলালের সম্পর্ক বেশ মজবুত ছিল। জেলা সহ সভাপতির মৃত্যুর খবরে মর্মাহত হয়ে পড়েন দলনেত্রী।
এবার সেই দুলালের স্ত্রী তথা ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলর চৈতালি সরকারের হাতে বড় দায়িত্ব দিল তৃণমূল। গতকাল দলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারপার্সনদের তালিকা প্রকাশ করেছে জোড়াফুল শিবির। সেখানে দেখা গিয়েছে, মালদহের জেলা চেয়ারপার্সন পদে বসানো হয়েছে দুলাল-পত্নীকে। এতদিন এই দায়িত্ব সামলেছেন রতুয়ার প্রবীণ বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তবে অসুস্থতার জন্য আস্তে আস্তে কাজ থেকে অব্যাহতি চান তিনি। সেই পদেই বসানো হয়েছে চৈতালিকে।
আরও পড়ুনঃ ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন…’! জেলা সভাপতি পদ খুইয়েছেন কেষ্ট! এবার মুখ খুললেন কাজল
পেশায় আইনজীবী চৈতালি রাজনীতির দুনিয়ায় বেশ অভিজ্ঞ। একসময় জেলার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলর হন। এবার মালদহ জেলা চেয়ারপার্সন (Chairperson) পদে বসানো হল তাঁকে।
উল্লেখ্য, দুলালের মৃত্যুর পর মালদহে গিয়ে মঞ্চে ওই নেতার ছবি রেখে তাঁর স্ত্রী চৈতালির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গেই ঘোষণা করেন, চৈতালিকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এবার জেলার চেয়ারপার্সন পদে বসানো হল তাঁকে। দুলালের প্রয়াণের পর তাঁর স্ত্রীয়ের হাতেই যেন অসমাপ্ত কাজ পূরণের দায়িত্ব দিল দল।