বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খুনের চেষ্টা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ১০ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তবে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হতেই খুলল কপাল। তৃণমূলের ১২ জন নেতা, কর্মীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল উচ্চ আদালত। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক (Justice Debangshu Basak) ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির (Justice Md. Shabbar Rashidi) ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোন কোন নেতা-কর্মীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালে। রায়ান ১ পঞ্চায়েতের তৎকালীন সদস্য জীবন পালের বাবা দেবু পালের ওপর দলেরই একাংশের দলবল হামলা চালায় বলে খবর। যার জেরে দেবুর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এই ঘটনা সূত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি কাকলি গুপ্ত তা সহ মোট ১৩ জন নেতা-কর্মীর নামে বর্ধমান আদালতে মামলা হয়।
গত ১ এপ্রিল বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র তৃণমূলের (Trinamool Congress) ১৩ জন নেতা-কর্মীকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। শারীরিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে কাকলিকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। পরবর্তীতে জামিন পেয়ে যান কাকলি। তবে বাকিরা জেলবন্দিই ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ পহেলগাঁও কাণ্ডের জঙ্গিদের কী খবর? নিহত নাকি পাকিস্তানে পালিয়েছে? অভিষেকের প্রশ্নে কী বলল কেন্দ্র
এরপর নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন। সেই সঙ্গেই জামিনের আবেদন জানান তাঁরা। গতকাল তাঁদের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে উচ্চ আদালত। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, খুনের চেষ্টার মামলায় সাজা প্রাপ্ত ওই ১২ জনের অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর হয়েছে। তবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু শর্ত।
সকলকে ১০,০০০ টাকা করে জমা করতে হবে। মাসে একদিন করে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজিরা দেবেন। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছে সেটার নথি বর্ধমান সিজেএম আদালতে জমা করে পাকাপোক্ত জামিন নিতে হবে। সিজেএম জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার পরেই ওই ১২ জনের জেলমুক্তি হবে।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে জামিন পাওয়া ১২ জনের মধ্যে রয়েছে রায়ান অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শেখ জামাল, রায়ান ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ, বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। বেশ কিছু শর্ত বেঁধে তৃণমূলের এই ১২ জন নেতা-কর্মীকে জামিন দিয়েছে বিচারপতি বসাক ও বিচারপতি রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।