বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুয়ারে রেশন, দুয়ারে সরকার তো শুনেছেন। দুয়ারে ‘চিকেন-মটন’ (Duare Mutton) শুনেছেন কী? এবার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। চিকেন, মটন, ডিমের মতো আমিষ খাদ্যগুলি এবার হাজির হবে আপনার দুয়ারে। অর্থাৎ বাজারে ভিড়ে গিয়ে ডিম, মাংস কেনার পালা চুকলো বলে। তবে কিভাবে মিলবে? কারাই বা এই উদ্যোগ নিলেন? জেনে নিন।
রাজ্যে প্রথম দুয়ারে ‘চিকেন-মটন’ (Duare Mutton)
এবার মটন, ডিম-মুরগির মাংস নিয়ে দুয়ারে পৌঁছে যাবেন ‘প্রাণী পালক’রা। সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন আবাসনে পৌঁছে যাবেন মূলত ছোট প্রাণী প্রতি পালকরা। যাদের মাধ্যমে নিজের বাড়িতে বসেই দুধ, ডিম, মাংস ইত্যাদি মিলবে। আর সেসবের দামও হবে কম। কারণ মিডিলম্যান থাকবে না। বাজারদরের চেয়ে কিছুটা হলেও কম দামে পণ্যগুলি বিক্রি করা হবে। অর্থ্যাৎ সাশ্রয়ও হবে ক্রেতাদের। লাভবান হবেন বিক্রেতারাও।
কোথায় শুরু হচ্ছে দুয়ারে ‘চিকেন-মটন’?
জানিয়ে রাখি, এই বিষয়ে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শস্য শ্যামলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কাছে পাঠানো প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সোনারপুরের আবাসনগুলিতে এই পরিষেবা শুরু হতে চলেছে, যা বাংলায় প্রথম। বর্তমান সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুর ব্লক প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগের আধিকারিক কৃষ্ণপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে গোটা বিষয়টি বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে হিংসার নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা? হাইকোর্টের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তোলপাড়
ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে ‘ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশন’-এর (এফপিও) সদস্যদের। তারাই দুয়ারে ডিম ও চিকেন মটন বিক্রি করবেন। জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে সোনারপুরে এই প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। সাফল্য মিললে পরে অন্যান্য জায়গাতেও এই পরিষেবা চালু করা হবে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/8Y7itFJFfv8?si=IVJddMYVau2WNBDE
এই অভিনব পদক্ষেপের বিষয়ে এফপিও’র প্রধান জানান, তাদের উৎপাদিত মাংস ও ডিম সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করলে ভালো লাভ হবে। ব্যবসায়ীরা তাদের থেকে এসব কিনে বাজারে বিক্রি করেন। এভাবে সরাসরি বেচতে পারলে লাভের পরিমাণ বাড়বে। ক্রেতারাও কম দামে ভালো মানের জিনিস পাবেন।