বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার রাজস্থানের বিকানেরে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। পাক সীমান্তবর্তী এই জেলা থেকে ১০৩টি অমৃত ভারত স্টেশনের (Amrit Bharat Station) উদ্বোধন করেন তিনি। ভার্চুয়ালি এই উদ্বোধন সারেন পিএম মোদী। এর মধ্যে বাংলারও তিনটি স্টেশন রয়েছে। কল্যাণী ঘোষপাড়া, জয়চণ্ডী পাহাড় ও পানাগড়ের নাম রয়েছে এই তালিকায়। এর পাশাপাশি পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাত ও অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়েও একাধিক বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। ‘শোধ-প্রতিশোধের খেলা নয়, এটাই ন্যায়ের নতুন রূপ’, বলেন তিনি।
পাকিস্তানকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার পর আর কী কী বললেন মোদী (Narendra Modi)?
এদিন বিকানেরের জনসভায় বক্তৃতা রাখার সময় উঠে আসে পহেলগাঁও কাণ্ড ও অপারেশন সিঁদুরের কথা। পিএম মোদী বলেন, আমাদের সরকার তিন বাহিনীকেই খোলাছুট দিয়েছিল। তিন বাহিনী মিলে এমন ‘চক্রব্যূহ’ তৈরি করে, তাতে পাকিস্তান মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার জবাব ২২ মিনিটে ৯টা জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে ভারত দিয়েছে। সিঁদুর বারুদ হয়ে গেলে, তার পরিণতি কী হয় সেটা দেশ ও বিশ্বের শত্রুরা দেখেছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী এদিন মনে করিয়ে দেন, বছর পাঁচেক আগে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের (Balakot Airstrike) পর রাজস্থান সীমান্তে প্রথম সভা করেছিলেন তিনি। অপারেশন সিঁদুরের পরেও তার পুনরাবৃত্তি হল। বিকানেরের সভা থেকে তিনি বলেন, রাজস্থানে দাঁড়িয়ে আজ বলছি, যারা সিঁদুর মুছতে বেরিয়েছিল, তাদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতবাসীর রক্ত বইয়েছে, প্রত্যেক ফোঁটার হিসেব তাদের দিতে হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জগদ্ধাত্রী-পরিণীতার জোর লড়াই, পরশুরাম-ফুলকির কী হাল? বেঙ্গল টপারের নাম চমকে দেবে
পিএম মোদী এদিন বলেন, যারা এতদিন ভাবত ভারত চুপ করে থাকবে, আজ তারা ঘরে লুকিয়েছে। নিজেদের অস্ত্র নিয়ে যারা অহংকার করত, তারা আজ ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়েছে। ‘এটা শোধ-প্রতিশোধের খেলা নয়। এটা ন্যায়ের নতুন রূপ। এটাই অপারেশন সিঁদুর’, বলেন তিনি।
পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ যে আর বরদাস্ত করা হবে না, সেটা আজ ফের পরিষ্কার করে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট বলেন, সন্ত্রাসবাদ লালনকারী দেশকে আর আলাদাভাবে দেখা হবে না। পাকিস্তানের এই খেলা আর চলবে না। সমগ্র বিশ্বে পাকিস্তানের (Pakistan) মুখোশ খুলে দিতে আমাদের প্রতিনিধি দল যাচ্ছে। পাকিস্তানের আসল রূপ সমগ্র দুনিয়াকে দেখানো হবে। একইসঙ্গে তিনি পরিষ্কার করে দেন, সন্ত্রাসবাদ মুছে দিতে এটাই ভারতের রীতি, নীতি। এটাই নতুন ভারত, দাবি করেন পিএম মোদী।
রাজস্থানে দাঁড়িয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ভারতের সঙ্গে সোজাভাবে লড়াইয়ে পাকিস্তান জয়ী হতে পারে না। সেই কারণে সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার করে। মোদী দাবি করেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এমনটাই চলছে। সন্ত্রাস হামলা চালিয়ে ভারতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতো এই পড়শি দেশ। তবে তারা ভুলে গিয়েছিল, এখন মোদী বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘মোদীর মাথা ঠাণ্ডা, কিন্তু রক্ত গরম। শিরায় রক্ত নয়, গরম সিঁদুর বইছে’।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘জিরো টলারেন্স নীতির’ কথা একাধিকবার শোনা গিয়েছে। জঙ্গি দমনে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও (Narendra Modi)। এদিনও তাঁর গলায় শোনা গেল একই সুর। প্রত্যেকটা সন্ত্রাসবাদী হামলার দাম দিতে হবে পাকিস্তানকে। সেদেশের অর্থনীতি, সেনাকে এর দাম দিতে হবে। একইসঙ্গে পিএম মোদী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যদি কথা হয়, তাহলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে হবে।