বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে ওলটপালট হয়ে গিয়েছে তাঁদের জীবন। দুর্নীতির কারণে ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গত ৩ এপ্রিল এই রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এরপর থেকেই চাকরি হারানো শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলন চলছে। এবার যেমন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন প্রতিবাদী চাকরিহারারা।
শিক্ষামন্ত্রীকে কতদিনের সময় দিলেন আন্দোলনকারীরা (SSC Recruitment Scam)?
গত মাসে সুপ্রিম-রায়ের জেরে ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে এই বছরের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। যদিও চাকরিহারাদের একটি অংশ নতুন করে পরীক্ষায় বসতে নারাজ। তাঁদের দাবি, উত্তরপত্রের মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হোক।
এই নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান চলছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর আন্দোলনস্থল পরিবর্তন হলেও চাকরিহারারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘শুধুমাত্র অবস্থানের জায়গা বদলাচ্ছে, আন্দোলন চলবে’। এরপরেই শিক্ষামন্ত্রীকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ ‘যা হয়েছে তা…’! পাকিস্তানে কীভাবে কেটেছে ২২ দিন? কী জানালেন বাঙালি জওয়ান পূর্ণম
শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেখানেই শিক্ষামন্ত্রীকে কার্যত ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দেন তাঁরা। আগামী সোমবারের মধ্যে ব্রাত্য বসু দেখা না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। একাধিকবার চিঠি, ইমেল পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি, তাই এবার সময়সীমা বেঁধে দিলেন প্রতিবাদীরা।
এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়েও মুখ খুলেছেন এসএসসি কাণ্ডে চাকরিহারারা। অবস্থান স্থল পরিবর্তন নিয়ে তাঁরা বলেন, আইনকে সম্মান জানিয়ে বিকাশ ভবনের (Bikash Bhawan) সামনে থেকে ধরনা উঠছে। সেই সঙ্গেই জানান, সকল সাংসদকে চিঠি দিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা তাঁরা জানাবেন।
এছাড়া গত ১৫ মে বিকাশ ভবনের সামনের ধুন্ধুমার পরিস্থিতি নিয়ে চাকরিহারারা বলেন, ‘ওই দিন চাকরিহারাদের কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিকাশ ভবনের গেট ভাঙেননি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। ক্ষণিকের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র’।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির কারণে গত বছরই ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টও সেই রায়ই বহাল রেখেছে। যে কারণে চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। তাঁদেরই একাংশ বিকাশ ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান করছিলেন। গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশ মতো অবস্থান স্থল বদলালেও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন প্রতিবাদীরা।