বাংলাহান্ট ডেস্ক : ময়নার বাকচায় বিজেপির (Bhartiya Janata Party) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হলেন মূল অভিযুক্ত মনোরঞ্জন হাজরা, যিনি কিনা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। দু বছর আগের মামলায় গত শুক্রবার রাতে তদন্তকারী সংস্থা এনআইএর হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতি অমিতাভ ভঞ্জ, অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরা সহ তৃণমূলের মোট ৩৫ জন নেতার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আগেই।
বিজেপি (Bhartiya Janata Party) নেতা খুলে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী
অনেকদিন ধরেই কলকাতা নগর দায়রা আদালতে চলছিল এই মামলা। অভিযুক্ত মনোরঞ্জন হাজরা সহ শাসকদলের অঞ্চল এবং বুথ স্তরের তিনজন নেতা বুদ্ধদেব মণ্ডল, কমল খুটিয়া এবং স্বপন ভৌমিকের বিরুদ্ধে কোর্টের তরফে পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় হুলিয়া জারি করা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। ২১ এপ্রিল বাকচা গ্র্যাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তদের নামে নোটিশ ঝোলানো হয়। কিন্তু সেদিনও আদালতে হাজিরা দেননি তারা।
গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত: এরপরেই সপ্তাহ খানেক আগে মূল অভিযুক্ত মনোরঞ্জনের বড় ছেলেকে আটক করে। যদিও তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে মনোরঞ্জন পুত্র দাবি করেছিলেন, তাঁর উপরে শারীরিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তারপরেই শুক্রবার এনআইএ গ্রেফতার করে মূল অভিযুক্ত মনোরঞ্জন হাজরাকে। উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল তার নামে হুলিয়া জারি হয়েছিল। কিন্তু আদালতে হাজিরা দেননি তিনি। এমতাবস্থায় যেকোনো সময় সম্পত্তি ক্রোক হতে পারে তা ভেবেই আত্মসমর্পণ করেন তৃণমূল নেতা।
আরো পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ, হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে এল বড় আপডেট
দু বছর আগে মৃত্যু কর্মীর: প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালের মে মাসে। ময়নার বাকচায় বিজেপি (Bhartiya Janata Party) কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে মারধোরের পর তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল চাপানউতোর।
ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নিহতের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি।