বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) দাদা তিনি। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly) নিজেও নামি ক্রিকেটার ছিলেন। বর্তমানে সিএবি (CAB) প্রেসিডেন্ট। সেই ব্যক্তিত্বই স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন। স্নেহাশিস ও তাঁর স্ত্রী অর্পিতাকে নিয়েই উল্টে গেল ফেরি নৌকা।
বরাতজোরে রক্ষা পেলেন সৌরভের (Sourav Ganguly) দাদা-বৌদি!
কাজের ব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় পেয়ে পুরীতে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন সস্ত্রীক স্নেহাশিস। সেখানেই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন তাঁরা। বরাতজোরে রক্ষা পান গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতি। এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে স্নেহাশিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনও লাভ হয়নি। তবে সঞ্জয় দাস নামে স্নেহাশিস ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘এই রকম একটি ঘটনা সত্যিই ঘটেছে। তবে বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। ওনারা ভালো আছেন’।
জানা যাচ্ছে, স্নেহাশিস, অর্পিতার পাশাপাশি ফেরিতে থাকা প্রত্যেককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জন্য ফেরি পরিষেবার দিকে আঙুল তুলেছেন সৌরভের বৌদি। তিনি জানান, ‘সমুদ্র উত্তাল ছিল। ফেরিতে ১০ জন লোক বসতে পারলেও টাকার লোভে ৩-৪ জনের বেশি নেওয়া হচ্ছিল না। আমাদেরটাই শেষ ফেরি ছিল। আগেই আমরা জিজ্ঞেস করি, এই অবস্থায় সমুদ্রে যাওয়া নিরাপদ হবে তো? ওরা জবাবে বলে, কোনও অসুবিধা হবে’।
আরও পড়ুনঃ ’সাপ সবসময় সাপই থাকে, বদলায় না’! কোরিয়ায় দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে তুলোধোনা অভিষেকের
স্নেহাশিস পত্নী জানান, সমুদ্রে নামতেই ঢেউয়ের ধাক্কায় তাঁদের ফেরি উল্টে যায়। লাইফ গার্ডেরা না আসলে তাঁরা প্রাণে বাঁচতেন না বলে দাবি করেন অর্পিতা। ফেরিতে যদি আরও বেশি লোক থাকতো, তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না, বলেন তিনি।
এই দুর্ঘটনার পর পুরীর সমুদ্রে এই প্রকারের জল ক্রীড়া বন্ধ করার দাবি তুলেছেন সৌরভের (Sourav Ganguly) বৌদি। কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অল্পের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেও আতঙ্ক কাটছে না বলে জানান স্নেহাশিস পত্নী।