বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংশোধিত ওয়াকফ আইন (WAQF Act) গোটা দেশ জুড়ে কার্যকর হওয়ার পর থেকেই নানান প্রান্তে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। সম্প্রতি ২০২৫ সালের সংশোধিত ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান করেনি শীর্ষ আদালত। এর মাঝেই ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি মামলা হয়েছে।
কেন্দ্র ও রাজ্যকে নোটিশ শীর্ষ আদালতের (Supreme Court)
এদিন মামলাকারীর আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়কে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই (CJI BR Gavai) জিজ্ঞেস করেন, প্রায় তিন দশক আগের এই আইন এখন কেন চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে? এত দেরি করে মামলা করায় কেন তা খারিজ করা হবে না? জানতে চান সিজেআই।
জবাবে মামলাকারীর আইনজীবী ২০১৩ সালের সংশোধিত ওয়াকফ আইন চ্যালেঞ্জ করার কথা বলেন। পাল্টা প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, তা সত্ত্বেও ১২ বছর পর কেন এই আবেদন?
আরও পড়ুনঃ চাকরিহারাদের জন্য বড় খবর! ৪৪,২০৩টি শূন্যপদে নিয়োগ! নবান্ন থেকে ঘোষণা মমতার
এদিন ওই আইনজীবী ১৯৯১ সালের প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ আইন, ১৯৯২ সালের ন্যাশানাল মাইনরিটি কমিশন আইনের কথাও বলেন। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ আইন ২০২০-২০২১ সাল নাগাদ চ্যালেঞ্জ করা হয়। একই রকম ভাবে ১৯৯২ সালের ন্যাশানাল মাইনরিটি কমিশন আইনও অনেক পরে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।
জানা যাচ্ছে, ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন চ্যালেঞ্জ করে হওয়া আরেকটি মামলার সঙ্গে এই মামলা জুড়ে দিলে কোনও আপত্তি নেই বলে মঙ্গলবার জানান অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি।
মামলাকারীর বক্তব্য, ভারতে শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য তাদের দাতব্য প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধিত আইন রয়েছে। তবে অন্য কোনও ধর্মের ক্ষেত্রে এই প্রকারের আইন নেই। সেই জন্য ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন চরম বৈষম্যমূলক। সেই সঙ্গেই তাঁর কথায়, কোনও সম্পত্তি যদি উৎসর্গ করা হয়, তাহলেই সেটা ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত হয়। তবে সেটি আইনসম্মতভাবে পাওয়া অথবা সংগৃহীত কিনা সেটা খতিয়ে দেখার কোনও ব্যবস্থা প্রায় তিন দশক পুরনো এই আইনে নেই।
১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা হয়েছে সেটিতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে সুপ্রিম (Supreme Court) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ এই নোটিশ জারি করেছেন। পরবর্তীতে এই মামলা কোনদিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।