বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংশোধিত ওয়াকফ আইন (WAQF Act) কার্যকর হতেই দেশের নানান প্রান্তে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। অশান্তির আগুনে জ্বলেছিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)। প্রাণ বাঁচাতে সুতি, সামশেরগঞ্জ ছেড়ে পালিয়েছিলেন বহু মানুষ। নিজের ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছিল। পরবর্তীতে হিংসা বিশ্বস্ত মুর্শিদাবাদে গিয়ে বেশ কিছু ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘নবাবের শহরে’ একটি প্রশাসনিক সভায় যোগ দিয়ে নতুন মহকুমা তৈরি হবে বলে জানান। অবশেষে সেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন তিনি।
হিংসা বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদে গিয়ে দেওয়া নিজের কথা রাখলেন মমতা (Mamata Banerjee)
মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক সভায় যোগ দিয়ে সেখানকার প্রশাসনিক জটিলতা তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই আইনশৃঙ্খলা আরও পোক্ত করতে নতুন মহকুমা তৈরির ঘোষণাও করেন। এরপর কিছু সময় যেতে না যেতেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হল। ইতিমধ্যেই নয়া মহকুমা তৈরিতে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সুতি ১ ও ২, ফারাক্কা ও সামশেরগঞ্জ জুড়ে নয়া ফারাক্কা মহকুমা তৈরি হয়েছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বিশেষ অনুমোদন নিয়ে এই মহকুমা তৈরি হয়। এর ফলে পুলিশি কাজকর্ম পরিচালনায় বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে এমনটাই খবর।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রতকে থানায় হাজিরা দিতেই হবে! কবে কখন? স্পষ্ট করে দিল ‘দিদির দূত’
এছাড়াও জানা যাচ্ছে, সমগ্র মহকুমা স্তরে প্রায় ১০৯টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। এই বিষয়েও রাজ্য মন্ত্রিসভার সায় মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে আরও পোক্ত করতে নয়া ফারাক্কা মহকুমা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই হিংসার আগুনে তেতে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন বহু মানুষ। শুধু সামশেরগঞ্জেই রাতারাতি প্রায় ৫০০-র বেশি পরিবার ঘরছাড়া হয়েছিল বলে খবর। পরবর্তীতে ‘নবাবের শহরে’ গিয়ে নতুন মহকুমা তৈরির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সুতি, ফারাক্কা ও ধুলিয়ানের মধ্যবর্তী কোনও জায়গায় নতুন মহকুমার সদর দফতর তৈরি হবে বলে জানান। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন তিনি।