বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রাথমিকের পড়ুয়ারা যাবে স্কুলে। নদী পেরিয়ে তাদের স্কুলে পৌঁছানোর দায়িত্বে রয়েছে যে মাঝি, সেও নাবালক। বয়স তারও বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার। কিন্তু কপাল ফেরে বই খাতার পরিবর্তে হাতে উঠে এসেছে নৌকার হাল। নিত্যদিন মহানন্দা নদী (Malda) পেরিয়ে এই নাবালক মাঝিই এপার থেকে অন্য পাড়ে পৌঁছে দিচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের। আর সেটাই এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে।
পুরাতন মালদহে (Malda) নদী পারাপার করাচ্ছে নাবালক মাঝি
পুরাতন মালদহে (Malda) প্রতিদিন মহানন্দা নদী পেরিয়েই স্কুলে যাতায়াত করে অনেক পড়ুয়া। তাদের মাঝি হয়ে নদী পার করে দেয় এক নাবালক। কিন্তু এতে ঝুঁকি প্রচুর। আর তাতেই কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে পড়ুয়াদের বাবা মায়ের। প্রতিদিন সুরক্ষা ছাড়াই যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে নাবালকের নৌকায়। এতে প্রশাসনের গাফিলতি তো রয়েছেই, উপরন্তু ওই নাবালকের পরিবারকে বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের।
চিন্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা: একদিকে পুরাতন মালদহ (Malda) শহর আর অন্যদিকে ইংলিশবাজার শহর এবং গ্রাম। মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইংলিশবাজার এলাকার টেকরা গ্রামের অধিকাংশ পড়ুয়াই পুরাতন মালদহের বিভিন্ন হাই স্কুল এবং প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা করে। কাজের প্রয়োজনেও দুই এলাকার মানুষ নৌকা পারাপার করে। প্রতি মঙ্গলবার করে ইংলিশবাজার থেকে ছয় জন খুদে পড়ুয়া সহ একটি নৌকা আসে পুরাতন মালদহে (Malda)। নৌকার মাঝি সেই নাবালক। শাকমোহন প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন নদী তীরে নামানো হয় পড়ুয়াদের।
আরো পড়ুন : রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট খারাপ, অসুস্থ সায়ক চক্রবর্তী, হঠাৎ কী হল অভিনেতার
কী বলছে প্রশাসন: এই ঝুঁকির পারাপারে চিন্তায় থাকেন পড়ুয়াদের বাবা মায়েরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আগে নাবালককে দিয়ে নৌকা পারাপার করাতে বারণ করায় তর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। প্রশাসনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মত অনেকের। স্থানীয় পুরসভার (Malda) চেয়ারম্যান এ বিষয়ে বলেন, শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। এমন কিছু ঘটে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
আরো পড়ুন : যাঁর হাত ধরে স্বাধীনতা সেই ‘বঙ্গবন্ধু’ কিনা আর ‘মুক্তিযোদ্ধা’ নন! আইন পাশ করিয়ে স্বীকৃতি কাড়লেন ইউনূস
শাকমোহন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে বলেন, অভিভাবকদের তিনি বলেছিলেন, সন্তানদের রেখে যাওয়ার কথা। আবার স্কুল শেষে তাদের নিয়ে যাবেন। আবারও সেই পরামর্শ দেওয়া হবে তা gy gদের।
Made in India