বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (Dearness Allowance) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাপে পড়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত রাজ্য সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ’র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যে অনেকটা সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার উদ্যোগ নিতে শুরু করে দিয়েছে নবান্ন।
ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া আপডেট | Dearness Allowance
সম্প্রতি সব দফতর, স্কুল-কলেজ এবং স্বশাসিত সরকারি সংস্থাগুলির কাছে কর্মচারীদের সংখ্যা জানতে চেয়ে তথ্য তলব করেছিল অর্থ দফতর। এ বার বকেয়া ডিএ-র অংশ মেটাতে প্রযুক্তিগত দিক থেকে নতুন পদ্ধতি তৈরির সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। জানা গিয়েছে সেই প্রযুক্তি সমস্ত দফতরে পাঠিয়ে সমস্ত কর্মীর মহার্ঘ ভাতা জানার সময়সীমা জানতে চাওয়া হবে।
সূত্রের খবর, এক বেসরকারি সংস্থাকে প্রযুক্তিগত পদ্ধতি নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হবে। সরকারি কর্মচারীদের ‘ইন্টিগ্রেটেড ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ পোর্টালে গিয়ে ২০০৯ সালে ‘রোপা’ কার্যকর হওয়ার পরে কার্যকালের মেয়াদের তথ্য জানাতে হবে। সব দফতর, সরকার অনুমোদিত এবং সরকার পোষিত স্বশাসিত সংস্থা এবং স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। সরকারি কর্মীদের ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নিজ নিজ কার্যকালের মেয়াদের তথ্য জানাতে হবে সেখানে।
এর মাধ্যমে অর্থ দফতর সহজেই কোন আধিকারিক বা সরকারি কর্মচারীকে কত পরিমাণ বকেয়া ডিএ দিতে হবে, সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারবে। রাজ্যের এই পদক্ষেপের পর আশাবাদী সরকারি কর্মীরা। সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করবে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/AyJohssEM80?si=lEJTokHPBNNTurw0
ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ছ’সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র অংশ মেটাতে হবে আর নির্দেশ দেওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বকেয়া মেটানোর পদক্ষেপের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। এই বিষয়েই এ বার নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার।