ইউনূসে ভরসা করেই ডুবল বাংলাদেশ, মাথাপিছু দেনা ৪১ হাজার! হাহাকার পড়শি দেশে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত বছর জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সরকারের পতনের পরেই দেশের হাল ফেরাতে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে বসেন মহম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় এসেই দেশের ভোল বদলে দেওয়া, আর্থ সামাজিক উন্নতির মতো ঢালাও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ঘটল উল্টোটা। একবছরেরও কয় সময়ে বাংলাদেশকে (Bangladesh) আরো অবনতির দিকে ঠেলে দিলেন ইউনূস।

ইউনূসের আমলে দেনায় ডুবেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আগে থেকেই ছিল টালমাটাল। ইউনূসের আমলে তা আরো দুর্গতিতে গিয়ে ঠেকেছে। ভেঙে পড়েছে আইনি ব্যবস্থা। হাসিনা বিদায়ের পর থেকে ও দেশে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনের বহু ঘটনাই প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের (Bangladesh) ঋণ এতই বেড়ে গিয়েছে যে প্রত্যেক নাগরিকের মাথার উপরে প্রায় ৪১ হাজার টাকার দেনার খাঁড়া ঝুলছে।

কী জানা গেল রিপোর্টে: বাংলাদেশ (Bangladesh) ব্যাঙ্কের তরফে সম্প্রতি পরিসংখ্যান সামনে আনা হয়েছে, যা থেকে জানা যাচ্ছে, প্রত্যেক বাংলাদেশি (Bangladesh) নাগরিকের উপরে ৪৮৩ ডলারের সার্বজনিক ঋণ রয়েছে। বাংলাদেশি (Bangladesh) টাকায় অঙ্কটা দাঁড়াচ্ছে ৫৯ হাজার টাকা। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, দেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ পৌঁছেছে ১০৩.৬৪ বিলিয়ন ডলারে।

আরো পড়ুন: মা-বউ তুলে অশ্রাব্য গালিগালাজ! অনুব্রত কাণ্ডের জল গড়াল দিল্লিতে, অনুব্রত-কাণ্ডে রাজ্য পুলিশকে টাইট ডেডলাইন

লাফ দিয়ে বেড়েছে ঋণের পরিমাণ: এদিকে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৭৩৮ ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। তবে আয় বাড়লেও সঙ্গে সঙ্গে দেনাও বেড়েছে। জানা যাচ্ছে, এই দেনার অঙ্কে সরকারের ভাগে রয়েছে ৮৪.২১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের রিপোর্ট বলছে, তখন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রত্যেক নাগরিকের উপরে ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৭ ডলার। তখন থেকেই বাড়তে বাড়তে বর্তমানে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন : সমাজের বিপরীতে গিয়ে ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এখন সেটাই ট্রেন্ড! মহুয়ার বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন দোলন

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, বাংলাদেশি টাকার দুর্বল বৈশ্বিক সুদের হার বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিবেশের অনিশ্চয়তার জেরে বাংলাদেশের ঋণ আরো বাড়তে পারে। গত বছর অগাস্ট মাস থেকেই পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে বলে প্রকাশ রিপোর্টে। এমতাবস্থায় এবার ইউনূসের বিরুদ্ধেই দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে বিক্ষোভ।