গরু কিনেও শান্তি নেই! ক্রেতা-বিক্রেতাদের থেকে ‘কাটমানি’ নিচ্ছে তৃণমূল? পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ! এবার নিশানায় খোদ তৃণমূল (Trinamool Congress) পরিচালিত পঞ্চায়েত (Panchayat)! গরু কেনাবেচার হাটে তোলাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনে (Sundarban)। পঞ্চায়েতের নামে বিল ছাপিয়ে রশিদ কেটে টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তৃণমূল (Trinamool Congress) পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ!

সুন্দরবনের গোসাবা থানার অধীন শম্ভুনগর গাম পঞ্চায়েতের বেলতলি বাজারে সপ্তাহে দু’দিন করে হাট বসে। বৃহস্পতিবার ও রবিবারের মধ্যে প্রত্যেক রবিবার গরুর হাট বসে। সেখানে গরু ক্রয়বিক্রয় হয়। সেই হাটেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের থেকে তোলাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েতের নামে রশিদ কেটে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, সাদা কাগজের ওপর বিল ছাপিয়ে ওই হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের থেকে ‘কাটমানি’ নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক ১০০০ টাকা পিছু ৩০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ একধাক্কায় বাড়বে ৬৫০০ টাকা? পেনশন বৃদ্ধির দাবিতে এবার নেওয়া হচ্ছে বড় পদক্ষেপ

একেবারে পঞ্চায়েতের নামে বিল ছাপিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে সেই কাগজের ওপর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প অথবা পঞ্চায়েত প্রধানের কোনও স্বাক্ষর নেই। এই বিষয়ে সাহালাম মোল্লা নামের এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, ‘১০০০ টাকা পিছু ৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এভাবে গরু কিনে নিলে লোকসান হয়ে যাবে’।

Trinamool Congress tmc flag

অন্যদিকে তোলাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গরুর হাট থেকে টাকা আদায়কারী শীতেশ প্রামাণিক। তিনি আবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়ও। শীতেশ বলেন, ‘বাজারের উন্নয়নের জন্যই এই টাকা তোলা হচ্ছে। সবটাই আইন মেনে করা হচ্ছে। অনেক সময় গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার সময় গরু কারবারিরা রাস্তায় সমস্যার সম্মুখীন হন। সেই জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একটা রশিদ দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যাতে গরু কারবারিদের কোনও প্রকার সমস্যার মুখে না পড়তে হয়’।

উল্লেখ্য, নানান সময়ে বহুবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। তবে একেবারে পঞ্চায়েতের নামে বিল ছাপিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ কার্যত বেনজির। যদিও তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে দিয়েছেন শীতেশ নামে এক আদায়কারী। সবকিছুই আইন মেনে করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।