মানিককে কেন জেল থেকে তলব করেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি? ৩২,০০০ চাকরি বাতিল মামলায় বড় প্রশ্ন রাজ্যের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রাথমিকের ৩২,০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানি (TET Scam)। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হচ্ছিল। সেখানে ফের একবার উঠে আসে উচ্চ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) প্রশ্ন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে জেল থেকে কেন তলব করেছিলেন তিনি? প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।

কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যা হল…

২০২২ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। এরপর থেকে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছিল তৃণমূল বিধায়কের। ২০২৪ সালের শেষ দিকে তিনি জামিন পান। এদিন প্রাথমিকের ৩২,০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে তাঁর প্রসঙ্গ উঠে আসে।

এজি জিজ্ঞেস করেন, হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) জেল থেকে কেন তলব করেছিলেন? সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিচারপতি চক্রবর্তী তখন বলেন, সেই সময় হয়তো এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে তাঁকে ডেকে পাঠাতে হয়।

আরও পড়ুনঃ কবিগুরুর বাড়ি ভাঙচুর হতেই বড় সিদ্ধান্ত! বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কিশোরের অবশ্য দাবি, আইনি প্রক্রিয়া মোতাবেক কোনও রকম দুর্নীতি প্রমাণিত হয়নি। এদিন ৩২,০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠে আসা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা।

Primary teacher TET scam case hearing in Calcutta High Court

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে প্রায় বছর দুয়েক জেলের মধ্যে কাটিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি দেখিয়ে একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়েও কাজ হয়নি। অবশেষে গত বছর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এবার তাঁকেই জেল থেকে তলব করা নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রশ্ন তুললেন পর্ষদের আইনজীবী। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কেন তাঁকে ডেকে পাঠান? প্রশ্ন তোলেন এজি কিশোর দত্ত।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।