বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের রায়ের পাশাপাশি নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই মতো ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। সোমবার থেকে অনলাইন ফর্ম ফিল আপ শুরু হওয়ার কথা। বিকেল ৫টা থেকে পোর্টাল খুলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তা খুলল প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে।
এসএসসি-র (School Service Commission) ‘গাফিলতি’কেই দুষছেন আবেদনকারীরা!
গত ৩০ মে নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কমিশন। সেই অনুযায়ী বিকেল ৫টায় এসএসসির (SSC) পোর্টালে অনলাইন ফর্ম ফিল আপ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই ওয়েবসাইট খুলতে খুলতে রাত ১০:৩৫ বেজে যায় বলে খবর। নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুতেই এই সমস্যা নিয়ে আবেদনকারীদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কমিশনের ‘গাফিলতি’কেই দুষছেন অনেকে।
এসএসসির ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ফর্ম ফিল আপের পোর্টাল খুলতে দেরি হওয়ার নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রযুক্তিগত সমস্যার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু কারণ উঠে আসছে। এসএসসির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিষয়ভিত্তিক শূন্যপদের তালিকা বানাতে অনেকটা সময় গিয়েছে। সেই সঙ্গেই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির প্রার্থীদের লিস্ট বানাতেও দেরি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘আইন বিরুদ্ধ’! হাইকোর্টে ফের জোর ধাক্কা খেল রাজ্য, বড় নির্দেশ দিয়ে দিলেন বিচারপতি
এখন প্রশ্ন হল, দু’সপ্তাহের অধিক সময় পাওয়া সত্ত্বেও কেন সময় মতো ওয়েবসাইট চালু করার প্রস্তুতি নিতে পারল না স্কুল সার্ভিস কমিশন? গত ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। তারপর হাতে এতটা সময় থাকলেও প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে অনলাইন ফর্ম ফিল আপের (Form Fill Up) ওয়েবসাইট চালু হওয়ায় এসএসসির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে গতকাল থেকে পোর্টাল চালু হলেও ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আবেদন করতে নারাজ। তাঁরা জানাচ্ছে, বর্তমানে তাঁরা আইনি লড়াই লড়ছেন। এছাড়া তাঁরা একই পরীক্ষা আরও একবার দিতে রাজি নন। ওয়েস্ট বেঙ্গল আনটেনটেড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তাদের কোনও সদস্য এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না।
এছাড়া ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের আরেকাংশও আন্দোলনে শামিল। বেশ কিছু দাবিতে অনশনে বসেছেন তাঁদের কয়েকজন। সোমবার বিধানসভা অভিযানের ডাকও দিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের অনেকে (School Service Commission)। ২৬,০০০ চাকরি বাতিল ও নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই ইস্যু আগামীতে কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।