বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের রেশ এখনও বর্তমান (SSC Recruitment Case)। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ মতো নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও চাকরিহারাদের একাংশ এখনও আন্দোলন করছেন। তাঁরা ফের পরীক্ষায় বসতে নারাজ। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁদের পরীক্ষায় বসার আবেদন জানান। এই বার্তা আসতেই পাল্টা বড় কর্মসূচির ডাক দেয় ‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’।
এবার কী কর্মসূচি এসএসসি কাণ্ডে চাকরিহারাদের (SSC Recruitment Case)?
মে মাসের শেষেই নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মতো সোমবার রাত থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবেদনের সংখ্যা ১০,০০০ পেরিয়ে গিয়েছে। তবে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে নারাজ ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটি বৃহৎ অংশ। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষায় বসার আবেদন জানালেও তা মানতে রাজি নন তাঁরা।
সোমবার থেকে আবেদন শুরুর পর ব্রাত্য বলেন, ‘আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে যা খবর, সেটা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। যারা পরীক্ষায় বসতে চান না, তাঁরা নিশ্চয়ই সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো আমরা এই পরীক্ষা নিচ্ছি’।
আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের কাছে শিক্ষামন্ত্রীর আবেদন, ‘এই রকম কোনও হঠকারী জায়গায় না গিয়ে শীর্ষ আদালতের আবেদনে সাড়া দিন। রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশন সবরকমভাবে আপনাদের সহায়তা করবে’।
যদিও সেই আবেদন মানতে নারাজ আন্দোলনকারী চাকরিহারারা। ব্রাত্যর বার্তা আসার পর বুধবার পাল্টা কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। এসএসসি (School Service Commission) কাণ্ডে চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ চিন্ময় মণ্ডল এই বিষয়ে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ মেনে যখন সব কিছু করার ছিল, তখন করেনি। এখন একথা কেন বলছেন! আমরা পরীক্ষায় বসব না। সেই জন্য পাল্টা প্রতিবাদ হিসেবে বিজ্ঞপ্তি পোড়ানোর ডাক’।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির কারণে গত বছরই ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Case) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ৩ এপ্রিল সেই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর থেকে চাকরিহারাদের আন্দোলন চলছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও অংশ নিতে চান না ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের একটি বড় অংশ। ব্রাত্য পরীক্ষায় বসায় আবেদন জানানোর পর পাল্টা বড় কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’।