নদীয়া কালীগঞ্জ বিধানসভায় শুরু উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণের আগেই TMC-র বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ BJP-র

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নদীয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় আজ উপনির্বাচন (By-Election)। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। কিন্তু এদিনও থেমে নেই বিতর্ক। ভোট শুরুর আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠল একাধিক অভিযোগ। অনন্তপুর অঞ্চলের ২০৪ নম্বর বুথে কংগ্রেস এজেন্টকে বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে মীরা ওয়ান হরিজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১ নম্বর বুথেও কংগ্রেসের এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখানেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে শাসক দলকে। তবে দু ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

নদীয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় শুরু উপনির্বাচন (By-Election)

শুধু কংগ্রেস নয়, বিজেপির তরফেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। মীরা ওয়ান বরদাঁদগড় ২১ এবং ৫৬ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থী আশিস ঘোষ। সরাসরি তৃণমূলের (By-Election) দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বিজেপি প্রার্থীর কটাক্ষ, ‘এটাই টিএমসির কালচার। বুথ জ্যাম, ছাপ্পা, রিগিং। ওরা জানে কালীগঞ্জ বিধানসভায় পায়ের তলায় মাটি নেই। জনগণ ওদের পক্ষে নেই। এটা চলতেই থাকে। আমরা রুখে দেব’।

Allegations against tmc in kaliganj assembly by-election

তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির: এদিকে ১৬৮ নম্বর বুথে আবার ইভিএম নিয়েও উঠেছে অভিযোগ। বিজেপির তরফে অভিযোগ তৃণমূলের দিকেই। আশিস ঘোষ বলেন, এটাও তৃণমূলের পরিকল্পনা। সকাল সকাল যে ভোটাররা (By-Election) ভোট দিতে আসেন তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করার প্রবণতা দেখাচ্ছে তৃণমূল। তিনি এখনই বুথগুলিতে যাবেন বলেও জানান বিজেপি প্রার্থী।

আরো পড়ুন : লোকাল ট্রেনেও এবার এসি! হার মানাবে মেট্রোকেও, শীঘ্রই চালু হবে শিয়ালদহ ডিভিশনে

নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ কংগ্রেসের: উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিধানসভা উপনির্বাচনে (By-Election) ভোট দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ। নির্বাচন কমিশনে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কংগ্রেসও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে।

আরো পড়ুন : পরেশ রাওয়ালই ফিরছেন শেষমেষ? ‘হেরা ফেরি ৩’ নিয়ে আশার কথা শোনালেন অক্ষয়

প্রসঙ্গত, নদীয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় মোট ১৬২ টি কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ (By-Election)। রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ২০০০ রাজ্য পুলিশ, ২০টি কুইক রেসপন্স টিম এবং ৮ পি ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার ১০০ শতাংশ বুথেই ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। বুথের বাইরেও থাকছে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা। এছাড়াও বিধানসভা, জেলা, রাজ্য ভিত্তিক স্তরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রত্যেক স্তরেই নজরদারিতে একজন নোডাল অফিসার থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।