‘চাকরি খাওয়া’র অভিযোগ এনেছিলেন মমতা! সেই বিকাশের লড়া মামলাতেই বাংলায় ফিরছে ১০০ দিনের কাজ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় ফের চালু হতে চলেছে ১০০ দিনের কাজ (100 Days Work)। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১ আগস্ট থেকে রাজ্যে ফের এই প্রকল্প চালু করতে হবে, কেন্দ্রকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এই মামলারই অন্যতম আইনজীবী ছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। যার বিরুদ্ধে একাধিকবার ‘চাকরি খাওয়া’র অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

১০০ দিনের কাজ, ‘চাকরি খাওয়া’র অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিকাশ (Bikash Ranjan Bhattacharya)

গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের সুপ্রিম রায় আসার পর বিকাশকে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘উনি বিশ্বের বৃহত্তম আইনজীবী, ওনার নোবেল পাওয়া উচিত’। এবার তাঁর লড়া মামলার সুবাদেই বাংলায় ফের চালু হতে চলেছে ১০০ দিনের কাজ।

জানা যাচ্ছে, এই মামলায় মামলাকারী ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও ‘পশ্চিমবঙ্গ খেত মজদুর সমিতি’। এই সংগঠনের হয়ে মামলা লড়েছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সেই মামলাতেই বাংলায় ফের ১০০ দিনের কাজ চালু করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুনঃ কোন দলে আছেন মুকুল রায়? জানতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা, শুনানিতেই বড় প্রশ্ন তুলল রাজ্য

বিগত প্রায় ৩ বছর ধরে রাজ্যে মনরেগা প্রকল্প বন্ধ ছিল। অবশেষে গতকাল উচ্চ আদালতের নির্দেশ, ১ আগস্ট থেকে ফের কেন্দ্রকে (Central Government) এই স্কিম চালু করতে হবে। সেই সঙ্গেই ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেটার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নজরদারি চালাবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

উচ্চ আদালতের এই রায় আসার পর বিকাশ বলেন, ‘টাকা পাবে বলে কেউ এই মামলা করেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির জন্য সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়। আমরা খেত মজদুরদের তরফ থেকে বলেছি, টাকাটা ফেরত আসুক’। এখানেই না থেমে ‘চাকরি খাওয়া’র অভিযোগ প্রসঙ্গে এই অভিজ্ঞ আইনজীবী বলেন, ‘দুর্নীতিকে যারা ভালোবাসেন, তাঁরাই একথা বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখবেন, আমি চাকরি খাইনি। অন্তত ২৫ হাজারকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছি’।

উল্লেখ্য, আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikash Ranjan Bhattacharya) অভিজ্ঞতা প্রচুর। একাধিক হাইপ্রোফাইল মামলা লড়েছেন তিনি। এবার তাঁর লড়া একটি মামলার সুবাদেই ফের বাংলায় চালু হতে চলেছে ১০০ দিনের কাজ।