বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্ঘটনার (Plane Crash) এক সপ্তাহ পর শেষ হল উদ্ধারকাজ এবং মূল তথ্য সংগ্রহ। এই এক সপ্তাহ ধরে ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহে এবং দেহ উদ্ধারে ব্যস্ত ছিলেন উদ্ধারকর্মীরা। আহমেদাবাদের ‘অভিশপ্ত’ বিমান দুর্ঘটনায় (Plane Crash) একজন বাদে মৃত্যু হয়েছে ২৪১ জনেরই। দেহ এবং দেহাংশ উদ্ধার ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের কাজ মিটেছে এতদিনে। এবার বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
দুর্ঘটনাস্থলে (Plane Crash) শেষ তথ্য সংগ্রহের কাজ
অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনা (Plane Crash) স্থলের মূল উদ্ধারকাজ থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং নথিবদ্ধকরণ সবটাই সম্পূর্ণ হয়েছে। আপাতত বিশ্লেষণ পর্যায়ে রয়েছে তদন্তের কাজ। অর্থাৎ যে তথ্যগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখে দুর্ঘটনার (Plane Crash) আসল কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হবে।
ব্ল্যাকবক্স নিয়ে বড় পদক্ষেপ: দুর্ঘটনাস্থল থেকে আগেই উদ্ধার হয়েছে বিমানের ব্ল্যাক বক্স। তবে তা থেকে বিশেষ তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কারণ দুর্ঘটনার (Plane Crash) অভিঘাতে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্ল্যাকবক্সও। সূত্রের খবর বলছে, ব্ল্যাকবক্সটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তা থেকে তথ্য উদ্ধার করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে, ব্ল্যাকবক্স থেকে যেটুকু তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তাই সেটিকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে বলে খবর।
আরো পড়ুন : ট্রাম্পের চাপের মুখেই মাথানত করল ইরান? শুক্রে বৈঠকের জন্য সম্মতি, যুদ্ধবিরতি কি তবে আসন্ন?
কোথায় পাঠানো হবে ব্ল্যাকবক্স: সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনো তথ্য না মিললেও শোনা যাচ্ছে, ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের কাছে পাঠানো হতে পারে ওই ক্ষতিগ্রস্ত ব্ল্যাকবক্স। এও জানা যাচ্ছে, ভারতীয় কয়েকজন আধিকারিক নাকি সমস্ত সেফটি প্রোটোকল মেনে সেটিকে নিয়ে যাবেন।
আরো পড়ুন : আমূল বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম জংশন, দুই স্টেশনকে নিয়ে ঢালাও পরিকল্পনা রেলের
এখনো পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে, টেকঅফের আগেও কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিতে। কিন্তু মাটি ছাড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই কীভাবে ঘটে গেল এত বড় দুর্ঘটনা তার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। ব্ল্যাকবক্সের তথ্য সামনে আসলেই দুর্ঘটনা রহস্য পরিষ্কার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।