বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ভাতা মামলায় বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। SSC কাণ্ডে চাকরিহারা সকল শিক্ষাকর্মীদের মাসে-মাসে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee)। চাকরিহারা সেই ‘গ্রুপ-সি’, ‘গ্রুপ-ডি’ কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালতের পর্যবেক্ষণ | Calcutta High Court
শুক্রবার হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা উঠলে বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরই একাধিক মহলে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তৃণমূলের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যেই বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ের অর্ডার কপি সামনে এসেছে। কপিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, এভাবে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্নীতিকেই একপ্রকার সমর্থন করেছে রাজ্য সরকার। বিচারপতি সিনহা পর্যবেক্ষণ, আর্থিক ভাবে দুর্বল বলে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। যদিও এই ‘স্কিম’ বেয়াইনি বলে খারিজ হয়ে যায়, তাহলে এদের পক্ষে টাকা ফেরানো সম্ভব হবে না।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/gqYXHOVWvQQ?si=FPRooNSUQAXseRl3
কপিতে উল্লেখ, “সুপ্রিম কোর্টের রায় সবাইকে মানতেই হবে। তা অপছন্দ হলেও। বিচারব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস কোনওভাবেই নষ্ট করা যাবে না। রাজ্যের এই প্রকল্প, শীর্ষ আদালতের রায়কে অতিক্রম করে যেতে চেয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে।” বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই স্কিমের মাধ্যমে রাজ্য কাজের নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়নি। এর মাধ্যমে বেকারকেও ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। দুর্নীতির জেরে যাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তাদের টাকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আর মাত্র ৬ দিন! ২৭ জুনের মধ্যেই DA মিলবে? সরকারের চাপ বাড়াতে যা করবেন সরকারি কর্মীরা.
বিচারপতি বলেন, যারা বাড়িতে বসে থাকবে, রাজ্য জেনেবুঝে তাদের টাকা দেবে। তাই রাজ্যকে কোনওভাবেই সেই স্কিম চালানোর অনুমতি দেবে না রাজ্য সরকার। দুর্নীতি, চিটিং, প্রতারণামূলক কাজকে সমর্থন করার জন্যই এই প্রকল্প বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।
গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে আদালত
এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারী ও চাকরিহারা দু’পক্ষেরই কথা উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, “যেখানে দু’পক্ষই ক্ষুদার্থ, সেখানে রাষ্ট্র এক পক্ষকে খাবার তুলে দিয়ে, অন্য পক্ষকে বঞ্চিত করতে পারে না। রাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে। কিন্তু তা কখনই একপেশে হতে পারে না। ” যে কোনও নাগরিকই জনস্বার্থে এমন মামলা দায়ের করতে পারেন বলে পর্যবেক্ষণ রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের।