বাংলাহান্ট ডেস্ক : এতদিন শুধুই হুঁশিয়ারি, হুমকিতে সীমাবদ্ধ ছিল বিষয়টা। এবার এক ধাপ এগিয়ে ইরান ইজরায়েলের যুদ্ধে সরাসরি এন্ট্রি নিল আমেরিকা। ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানা যাচ্ছে, শনিবার মধ্যরাতেই এই হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হামলার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই সঙ্গে আবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ইরান এবার যুদ্ধ শেষ করতে বাধ্য।
ইজরায়েল ইরান যুদ্ধে এন্ট্রি আমেরিকার (Donald Trump)
ইরানের ৩ টি পরমাণু কেন্দ্রে এয়ার স্ট্রাইক আমেরিকার। এই খবর জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) লিখেছেন, ‘আমরা ইরানের ৩ টি পরমাণু কেন্দ্রে সফল হামলা চালিয়েছি। ফোরডো, নাতানজ এবং এসফাহানে চালানো হয়েছে হামলা। সমস্ত বিমান এখন ইরানের বায়ুসীমার বাইরে। প্রাইমারি সাইট ফোরডোতে বোমার পূর্ণ পেলোড নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
হামলার কথা জানালেন ট্রাম্প: তিনি আরো লিখেছেন, ‘সব বিমান সুরক্ষিত ভাবে বাড়ি ফিরছে। আমাদের মহান মার্কিন যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানাই। এই বিশ্বের আর কোনো সেনা এমনটা করতে পারেনি। এটা শান্তির সময়! এই বিষয়ে মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশংসা করে বার্তা দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এক্ষেত্রে মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং গোটা মানবসভ্যতার জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। পৃথিবী এখন একটি নিরাপদ স্থান’।
আরো পড়ুন : প্রাক্তন স্বামীর শেষকৃত্য মিটতেই মুখে হাসি! ‘সম্পত্তি ভাগ করতে গিয়েছিলেন?’ করিশ্মাকে কটাক্ষ নেটিজেনদের
বার্তা দিয়েছেন নেতানিয়াহু: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইরানে হামলার পরেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হয় ট্রাম্পের (Donald Trump)। এক্স হ্যান্ডেলে একটি বার্তা দিয়ে নেতানিয়াহু লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমি প্রায়ই বলি, শক্তির মাধ্যমে শান্তি। প্রথমে আসে শক্তি, তারপর আসে শান্তি।
আরো পড়ুন : বক্স অফিস ধরতে মরিয়া, বাঙালি দর্শকের নজর কাড়তে এই প্রথম বার বাংলা চ্যানেলে আমির!
সূত্রের খবর, কিছুক্ষণের মধ্যেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প। ইরানকে এবার যুদ্ধ থামাতেই হবে, বক্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এদিকে জানা গিয়েছে, হামলার পরেই নাকি ট্রাম্পকে পালটা হুমকি দেওয়া হয়েছে ইরানের সরকারি প্রচার মাধ্যমে। বলা হয়েছে, আমেরিকা যা শুরু করেছে ইরান শেষ করবেন। ইরানে থাকা প্রত্যেক আমেরিকান সেনা এবং নাগরিক এখন টার্গেট।