বাংলাহান্ট ডেস্ক : মালদায় শতাব্দী প্রাচীন রথের মেলার অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় পুলিশ। মালদার কালিয়াচকের জালালপুর মন মহাপ্রভু মন্দির সংলগ্ন এলাকায় প্রতি বছরই রথের মেলা (Rathyatra) হয়ে থাকে। বিগত ৬২৮ বছর ধরে হয়ে আসছে তা। কিন্তু এবছর মেলার অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পালটা অনুমতি চেয়ে জেলাশাসকের কাছে এবং আদালতেও যাওয়ার কথা ভাবছেন মেলার উদ্যোক্তারা।
৬২৯ বছরের পুরনো রথের মেলার (Rathyatra) অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
এ বছর ৬২৯ বছরে পদার্পণ করবে কালিয়াচকের জালালপুরের মন মহাপ্রভু মন্দিরের রথের মেলা (Rathyatra)। রথ টানার পরেই প্রতি বছর মেলার আয়োজন হয় এখানে। সাত দিন ধরে বিভিন্ন দোকানপাট নিয়ে জমজমাট থাকে মেলা। আর প্রতি বছরই এই মেলার জন্য পুলিশের অনুমতি নিয়ে থাকেন উদ্যোক্তারা।
প্রতি বছরই চাওয়া হয় অনুমতি: এবারেও রথযাত্রা (Rathyatra) এবং মেলার জন্য অনুমতি চেয়ে পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল উদ্যোক্তাদের তরফে। তবে অভিযোগ, রথযাত্রার অনুমতি দিলেও মেলার জন্য অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। মেলার উদ্যোক্তারা জানান, পুলিশের তরফে তাদের বলা হয়েছে, মেলা (Rathyatra) উপলক্ষে নাকি অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে যায় এলাকায়। এমনকি মেলায় নাকি খুনের ঘটনাও ঘটেছে। সেই কারণে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই পুলিশ এবার মেলার অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছে। আর এরপরেই কার্যত মাথায় হাত পড়ার জোগাড় উদ্যোক্তাদের।
আরো পড়ুন : বেতন, ভাতায় বাম্পার বৃদ্ধি, অষ্টম বেতন কমিশনে কতটা লাভ হবে সরকারি কর্মীদের? চলে এল আপডেট
কেন মেলেনি অনুমতি: অভিযোগ, কয়েকশো বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মেলার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের কাজই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। তারা যদি সেই কাজেই ব্যর্থ হয় তবে এর জন্য মেলাকে কীভাবে দায়ী করা যায়! প্রশ্ন তুলেছেন উদ্যোক্তারা।
আরো পড়ুন : বড় স্বস্তি! ICU থেকে বের হয়ে এখন জেনারেল বেডে, দিল্লি গিয়েই অভিজিৎ গাঙ্গুলির শারীরিক অবস্থার উন্নতি
মেলার এক উদ্যোক্তা বলছেন, এই মেলাকে কেন্দ্র করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। এলাকার অর্থনীতির একটা বড় অংশও এই মেলার উপরে নির্ভরশীল। মেলা আয়োজনের অনুমতি চেয়ে তাঁরা জেলাশাসকের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান উদ্যোক্তা। সেখানে অনুমতি না পেলে আদালতে যাবেন তাঁরা।
Made in India