ফের খারাপ খবর? সরকারি কর্মীদের ২৫% DA নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকার?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি কর্মীদের (Government Employees) মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা। চলতি সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে। আরও ভালো করে বলতে গেলে ২৭ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সময়ের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় সে দিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

ডিএ-র লেটেস্ট আপডেট | Dearness Allowance

গত ১৬ মে দেশের ডিএ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ রাজ্য সরকারকে মিটিয়ে দিতে হবে। সরকারি ভাবে এখনও কিছু না বলা হলেও সূত্রের খবর, বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে রাজ্য সরকারের অন্দরে তৎপরতা তুঙ্গে রয়েছে।

ডিএ মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মোট বকেয়া ডিএ–র পরিমাণ সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। তার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা চলতি মাসে মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। একাধিক সূত্র বলছে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাড় করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে রাজ্য।

আরও পড়ুন: মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে যখন তখন ঘটতে পারে কেলেঙ্কারি! ‘সুইসাইড ডিজিজ’এ আক্রান্ত সলমন

রাজ্যের প্রশাসনিক মহলের একাংশের ধারণা, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে কর্মরতদের, বকেয়া ডিএ তাদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম নির্দেশ মানার পাশাপাশি সরকারের ঘরেই সেই অর্থ জমা থাকবে। আর পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের নির্দিষ্ট পেনশন অ্যাকাউন্টে বকেয়া টাকা দেওয়া হবে।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/5L5XGlP4vv0?si=I8qGybNqn7ieoXI6

একাধিক রিপোর্ট বলছে, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করা হয়েছে। সেই বৈঠকে ডিএ মেটানোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও নবান্ন এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি। তাই বকেয়া ডিএ নিয়ে এখনও শঙ্কায় রয়েছেন সরকারি কর্মীরা।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।