হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বাড়বে পেট্রোল-ডিজেলের দাম? কী পরিকল্পনা ভারতের? জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ায় ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, ভারত (India) সরকার তেল ও গ্যাসের সরবরাহ এবং দামের ওপর কড়া নজর রাখছে। রিপোর্ট অনুসারে, ইরানের ৩ টি পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পর, ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। এই প্রণালী বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ তেল ও গ্যাস সরবরাহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে বিবেচিত হয়। এদিকে, ভারতও তার তেলের চাহিদার একটি বড় অংশ এই পথ দিয়ে আমদানি করে। এমতাবস্থায়, যদি এটি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিশ্বের একাধিক দেশ প্রভাবিত হতে পারে। যদিও, ভারত সরকার আশ্বস্ত করেছে যে, দেশের জনগণ তেল পেতে থাকবেন এবং সরবরাহের কোনও ঘাটতি হবে না।

ভারতে জ্বালানির সঙ্কট ঘটবে না: হরদীপ সিং পুরী

ইতিমধ্যেই পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেছেন যে, ভারত (India) গত ২ সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তেল সরবরাহের উৎসগুলিকে বৈচিত্র্যময় করার বিষয়ে কথা বলেছেন। কেন্দ্রীয় মধ্যে জানিয়েছেন, “গত কয়েক বছর ধরে আমরা আমাদের সরবরাহ রুট পরিবর্তন করেছি এবং আমাদের তেল সরবরাহের সিংহভাগ আর হরমুজ প্রণালী দিয়ে আসে না। আমাদের তেল বিপণন সংস্থাগুলির কাছে কয়েক সপ্তাহের জন্য মজুত রয়েছে এবং আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানি সরবরাহ পাচ্ছি। আমাদের নাগরিকদের জন্য স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেব।”

ANI-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে হরদীপ সিং পুরী বলেন, “দাম নিয়ে অনুমান করা খুবই কঠিন। দীর্ঘদিন ধরে তেলের দাম ৬৫ ডলার থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে ছিল। তারপর এটি ৭০ ডলার থেকে ৭৫ ডলারের মধ্যে থাকে। সোমবার বাজার খুললে, হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রভাব দামের ওপর দেখা যাবে। কিন্তু আমি অনেক দিন ধরেই বলে আসছি, বিশ্ব বাজারে পর্যাপ্ত তেল মজুত রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিম গোলার্ধ থেকে তেলের সরবরাহ বাড়ছে।”

তিনি আরও জানান, “প্রথাগত সরবরাহকারীরাও সরবরাহ বজায় রাখতে আগ্রহী হবে। কারণ তাদেরও রাজস্বের প্রয়োজন। আশা করি বাজার এটির দিকে নজর দেবে। মোদী সরকার গত কয়েক বছর ধরে কেবল সরবরাহের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেনি বরং দামও সাশ্রয়ী মূল্যে রেখেছে। আমরা প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেব।”

আরও পড়ুন: ফের দাপট দেখালেন বুমরাহ! গড়লেন দুর্দান্ত রেকর্ড, ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইল লিডস

তবে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে, তেল ও গ্যাস একটি “অত্যন্ত সংবেদনশীল” সেক্টর। এমনকি, এক্ষেত্রে একটি ছোট ব্যাঘাতও বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দামে বড় ধরণের উত্থান ঘটাতে পারে। এমতাবস্থায়, যদি হরমুজ প্রণালী “এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে” বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটি বিশ্ব অর্থনীতিকে ধাক্কা দিতে পারে এবং ভারতও (India) এর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে না।

আরও পড়ুন: বেতন পেতেন ৭৫ কোটি, ছিলেন মুকেশ আম্বানির “ডান হাত”, সব ছেড়ে সাধুর জীবন গ্রহণ করলেন প্রকাশ

পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারত (India) রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে। তবে, এর সুবিধা ছাড় এবং দামের প্রবণতার ওপর নির্ভর করে। NDTV একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, অপরিশোধিত তেলের দাম যদি ব্যারেল প্রতি ১০৫ ডলারের ওপরে চলে যায়, তাহলে সরকার জ্বালানির ওপর আবগারি শুল্ক কমানোর বিষয়টি পর্যালোচনা করতে পারে।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।