বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির জেরে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬০০০। তাদের মধ্যে অনেকেই ফিরে যেতে চাইছেন পুরনো সরকারি চাকরিতে। এ নিয়ে শিক্ষা দফতরের আবেদন করেছেন তারা। কিন্তু যারা আবেদন করছেন তারা কী যোগ্য? নাকি অযোগ্য? এই তা জানতে উদ্যোগ নিল শিক্ষা দফতর। ডিআইদের (স্কুল পরিদর্শক) তিন দিনের মধ্যে যোগ্য অযোগ্য চিহ্নিত করে শিক্ষা দফতরের কাছে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ।
গত এপ্রিল মাসে এসএসসি (SSC) ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে এক ধাক্কায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক (Teacher’s) ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে ফের পরীক্ষায় না বসে চাকরিহারা শিক্ষকদের অনেকেই ফিরে যেতে চাইছেন ছেড়ে আসা পুরনো সরকারি চাকরিতে।
‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকদের জন্য বড় খবর | SSC
চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষাদপ্তরে আবেদন করেছেন পুরনো সরকারি চাকরিতে ফিরে যেতে চেয়ে। এবার সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করল রাজ্য। আবেদনকারীরা ‘যোগ্য’ না ‘অযোগ্য’ তা যাচাই করতে সম্প্রতি ডিআইদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে শিক্ষাদপ্তর।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে জানায়, ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা যদি এই শিক্ষকতার চাকরি করার আগে অন্য কোনও সরকারি চাকরি করতে করতে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে স্কুল শিক্ষকতার চাকরি পান তাহলে তারা পুনরায় নিজেদের পুরনো চাকরিতে ফিরে যেতে পারবেন। রাজ্য সরকার যাতে তাদের পুরনো চাকরি ফিরিয়ে দেয় সেই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের জন্য তেমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/5L5XGlP4vv0?si=I8qGybNqn7ieoXI6
সূত্রের খবর, চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে ১,৫৫৬ জন পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন করেন। ওই সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। পৃথক ভাবে বিকাশ ভবন, শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, প্রাইমারি, জেলা প্রাইমারিতে আবেদন জমা পড়েছে। ডিআইদের পাঠানো ফরম্যাটে জানাতে হবে আবেদনকারীরা আগে কোথায় চাকরিরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই তুমুল বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলি! ছাতা, রেইনকোট রেডি রাখুন
জানা গিয়েছে, ২০১৬ এসএলএসটিতে কোন স্কুলে আবেদনকারীরা যোগদান করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর কাজে যোগ দেওয়ার পরে ‘অ্যাপ্রুভাল’ হয়েছিল কি না, পাশাপাশি তারা ঠিকমতো বেতন পাচ্ছিলেন কি না এই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।