বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের (Kaliganj By Election) ফলঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাবালিকা ছাত্রীর মৃত্যু। তৃণমূলের বিজয়োল্লাস থেকে ছোড়া বোমার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর প্রশ্ন, ‘ওনার দলের যে হার্মাদ এই কাজ করেছে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কি নেবেন?’
কালীগঞ্জে নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় বিস্ফোরক সুকান্ত (Sukanta Majumdar)
এদিন কালীগঞ্জ উপভোটের ফল প্রকাশের পর বিজয়োল্লাসে মেতেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। সেই বিজয়োল্লাস থেকে ছোড়া বোমার আঘাতেই তামান্না খাতুন (৯) নামের এক নাবালিকার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, ওই শিশু বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় হঠাৎ বোমা উড়ে আসে। তার আঘাতেই প্রাণ হারায় সে। কালীগঞ্জের মোলান্ডিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা বারবার বলেছি, তৃণমূলের আমলে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলই সুরক্ষিত নয়’।
আরও পড়ুনঃ OBC ইস্যুতে জটিলতা! ফের কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা? হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবীর
পদ্ম নেতা বলেন, সংবাদমাধ্যম মারফৎ তিনি জেনেছেন প্রয়াত নাবালিকার বয়স ৯-১০ বছর। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে ছিল সে। সুকান্তর কথায়, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করার জন্য অর্থাৎ তৃণমূল না করার জন্য ওই শিশুর মা-বাবা আজ সন্তানহারা হল। সিপিএম-কংগ্রেস ভালোরকম ভোট পাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। এদিকে হিন্দু ভোটের প্রায় ৭২.৬০% অর্থাৎ প্রায় ৭৩% ভোট পেয়েছে বিজেপি’।
বিজেপি সাংসদের দাবি, ভোটের এই ট্রেন্ড দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল (Trinamool Congress) ভয় পেয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ছাব্বিশের নির্বাচনে হিন্দু ভোটের ৭৩-৭৪ শতাংশ বিজেপি যদি পায়, তাহলে বিজেপির সরকার গঠন অনেক সহজ হবে। এই জন্যই সিপিএমকে ভয় দেখিয়ে, তাদের মুসলিম ভোটও যাতে তৃণমূল পায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে’।
কালীগঞ্জে নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘দুঃখপ্রকাশ করে কী হবে? ওনার দলের যে হার্মাদ এই কাজ করেছে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কি নেবেন? কোনও ব্যবস্থা তো নেবেন না!’