বাংলাহান্ট ডেস্ক : জল্পনা ছিলই। তা সত্যি করেই তৃণমূলে (Mamata Banerjee) যোগ দিয়েছেন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন বড় চমকে কিন্তু শাসক দলের অন্দরেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যেই ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির মুখ খুলেছেন পীরজাদার রাজনীতির আঙিনায় পা রাখা নিয়ে। এবার পালটা জবাব দিলেন আরেক পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকি।
সরাসরি মমতাকে (Mamata Banerjee) আক্রমণ ইব্রাহিম সিদ্দিকির
কাশেম চৌধুরীর ব্যাপারে শওকত মোল্লা বলেছিলেন, ধর্মগুরুদের রাজনীতিতে আসা উচিত নয়। পালটা কটাক্ষ শানিয়ে এবার ইব্রাহিম সিদ্দিকি বলেন, ‘রাজনীতি তো অনেকেই করছেন, যাঁদের মধ্যে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী অন্যতম। সেটা কি শওকত মোল্লা দেখতে পাননি?’ ধর্মগুরুদের রাজনীতিতে আসা নিয়ে আপত্তি থাকলে তাঁর দলনেত্রীই বা তাঁদের নিয়ে টানাটানি করছেন কেন? প্রশ্ন তুলেছেন পীরজাদা।
তৃণমূলকে আক্রমণ পীরজাদার: মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) তথা তৃণমূলকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। ইব্রাহিমের প্রশ্ন, ‘আমার ভাইপো কাশেম সিদ্দিকিকে টেনে নিয়ে রাজনীতিতে ঢোকানো হল কেন? এত বড় পদই বা কেন দেওয়া হল?’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, মুসলিম ভোট টানতেই এত কিছু করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরো পড়ুন : এক ধাক্কায় গল্প এগোচ্ছে ২০ বছর, রাতারাতি সিরিয়াল ছাড়ছেন খোদ নায়ক!
বিষ্ফোরক অভিযোগ ইব্রাহিমের: মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে তোপ দেগে ইব্রাহিম সিদ্দিকি বলেন, ‘মুসলিম ভোট টানতেই এইসব করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আসল উদ্দেশ্য কি বাংলার মানুষ বুঝতে পারছেন না? এতে চিড়ে ভিজবে না। উনি কী কাজ করেছেন তা বাংলার মানুষ ভুলবে না’।
আরো পড়ুন : ধ্বংস হতে পারত মধ্যপ্রাচ্য, ইরান-ইজরায়েলের ‘১২ দিনের যুদ্ধ’এ বিরতি ঘোষণা করে দিলেন ট্রাম্প
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় চাল দিয়েছে তৃণমূল। পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকিকে রাজ্য সম্পাদক পদ দিয়েছে শাসক দল। এ নিয়েই ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে দলের একাধিক বিধায়কের গলায়। শওকত মোল্লা কটাক্ষ শানিয়ে বলেছিলেন, ‘এদের মনে হয় বেশি রুজি রোজগার হচ্ছে না। কাশেম সিদ্দিকি যে কখন কী বলেন’! অন্যদিকে ভরতপুরের বিধায়ক বলেছিলেন, শওকত মোল্লা রাজনীতির কিছুই জানেন না।